নরসিংদী-০৩ শিবপুর আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার একটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও ২ কর্মীকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শনিবার ৬ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের লাখপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খানের ১৫-২০ জন কর্মী-সমর্থক পাঁচটি মাইক্রোবাসে করে ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নাসিরের বাড়িতে যান। ইউপি সদস্য মো. নাসির ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার একনিষ্ঠ কর্মী। ঘটনার সময় নাসির বাড়িতে ছিলেন না। ডাকাডাকি শুনে নাসিরের ভাই আবদুর রশিদ বেরিয়ে আসলে তাকে হুমকি দিয়ে তারা বলেন, ‘এই বাড়ির কেউ যেন ভোট দিতে না যায়, ভোটকেন্দ্রে গেলে মাইরালামু।’
বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আবদুর রশিদকে মারধর করেন তারা। বাধা দিতে এলে প্রতিবেশী মিরাজ মিয়াকেও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত করা হয়। এ সময় বাড়িটির জানালার গ্রিল ও কাঁচ ভাঙচুর করেন তারা। পরে ওই বাড়ি থেকে বের হয়েই পাশে থাকা ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেন তারা। এ সময় ক্যাম্পের ভেতরে থাকা ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। সেসময় ৫০টি চেয়ার ও দুইটি টেবিল ভাঙচুর করা হয়। পরে ওই পাঁচটি মাইক্রোবাসে করে চলে যান তারা।
স্বজনরা দ্রুত আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিরাজ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শিবপুর থানার উপপরিদর্শক আবদুল হক জানান, ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার ক্যাম্প ভাঙচুর ও দুই কর্মীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা পলাতক, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।
ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা জানান, হামলায় তার ২ কর্মী আহত হয়েছেন। প্রতিপক্ষ বুঝে গেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমার জয় আটকানো সম্ভব নয়, তাই এসব করে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছেন তারা। আমার কর্মীদের কোপানো ও ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এই বিষয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। যতটুকু জেনেছি, এটি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোন ঘটনা নয়। তাদের ব্যক্তিগত রেশারেশির জেরে এসব ঘটেছে।