২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ বিভাগে ৩৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৯ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা বেশি।
বৃহস্পতিবার ১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করব বলে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
বাজেট পেশ বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, যা বর্তমানে ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভবিষ্যতে বর্ধিত বিদ্যুৎ চাহিদার বিষয় বিবেচনায় রেখে আমরা উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি জানান, সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে জীবাশ্ম এবং নবায়ণযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক মোট ১২ হাজার ৯৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন আছে। এছাড়া দু’হাজার ৪১৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৭টি বিদ্যৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও সরকার মোট ১০ হাজার ৪৪৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ হতে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছে সরকার।
অর্থমন্ত্রী জানান, সবমিলিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।
গত অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগে বাজেট ছিল ২৪ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। যদিও পরে তা বেড়ে ২৫ হাজার ২৪৭ কোটি করা হয়েছিল।