কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। তবে উপকূলের কাছের ইউনিয়নের অনেক এলাকায় এখনও বন্যার পানি রয়ে গেছে। স্লুইস গেইট বন্ধসহ নানা কারণে খুব ধীরে নামছে বন্যার পানি।
পানি কমার সাথে সাথে ভেসে উঠছে বন্যায় ক্ষতির চিহ্ন । কোথাও সড়ক-মহাসড়ক, কোথাও কালভার্ট ও কাঁচা রাস্তা ভেঙ্গে ক্ষত-বিক্ষত। বীজতলা, ফসলের মাঠ, মৎস্য ঘের, বেঁড়িবাধ, বসত ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ডের দৃশ্য চকরিয়া ও পেকুয়ার দুর্গত এলাকার সর্বত্রই। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। নানা সমস্যায় রয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন। তাদের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেড়িবাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে স্লুইস গেইট বন্ধ থাকায় বন্যার পানি সাগরে যেতে পারছে না। এ কারণে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা, পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের অনেক গ্রাম জলমগ্ন অবস্থায় আছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাপুর্বিতা চাকমা জানান, মাতামুহুরি নদীর কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গনের কারণে এই উপজেলার সদর, উজান্টিয়া ও শিলখালী ইউনিয়নের কিছু এলাকা এখনও বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুসারে, গত এক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চকরিয়া ও পেকুয়াসহ জেলার ৬০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৫ লাখের বেশী মানুষ। আর পাহাড় ধস ও ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার সাড়ে ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৮০০ চিংড়ি ঘের এবং ১ হাজার ৭০০ মিঠা পানির মাছের ঘের বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক বিভাগের ৫৯ ও এলজিইডির ৮৯ কিলোমিটার রাস্তা, ৪৭টি ব্রিজ কালভার্ট এর ক্ষতি হয়েছে।