ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসপাতালটি বেসামরিক নাগরিকদের আশ্রয়ের জন্যও ব্যবহার করা হয়েছিল। এর ফলে রোগীদের পাশাপাশি সেখানে অনেক বেসামরিক লোক অবস্থান করছিল।
সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা সেখানকার ক্ষতিগ্রস্তদের চিত্র ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেছে।।
গাজায় ইসরায়েলের ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে আল-আহলি আরব হাসপাতাল বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছিল (রয়টার্স)।
হামলায় আহতদের অনেকেই নারী ও শিশু ([আব্দেলহাকিম আবু রিয়াশ-আল জাজিরা)।
মেডগ্লোবাল এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থার মতে, গাজায় একটি ফিলিস্তিনি হাসপাতালে ইসরায়েলি বোমা হামলা একটি “যুদ্ধাপরাধ” (রয়টার্স)।
ইসরায়েল শহর ও আশেপাশের এলাকার সমস্ত বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর গাজা শহরের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে (আব্দেলহাকিম আবু রিয়াশ-আল জাজিরা)।
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বোমা হামলার পর তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। (আব্দেলহাকিম আবু রিয়াশ-আল জাজিরা)।
জিয়াদ শেহাদাহ নামে একজন মেডিকেল ডাক্তার বলেছেন, যা হয়েছে তা খুবই ভয়ঙ্কর কারণ ওই লোকেদের সবাই বেসামরিক। তারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেটা তারা নিরাপদ বলে বিশ্বাস করেছিল (আবেদ খালেদ-এপি)।
আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর আহত ফিলিস্তিনিরা শিফা হাসপাতালে পৌঁছেছে (আবেদ খালেদ-এপি)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস আল-আহলি আরব হাসপাতালে মারাত্মক হামলার নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন, মহিলা এবং শিশুদের মূল্য দিতে হচ্ছে (আব্দেল হাকিম আবু রিয়াশ-আল জাজির।
শিফা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মধ্য গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মৃতদেহ ঘিরে লোকজন জড়ো হচ্ছে (দাউদ নেমার-এএফপি)।
আল-আহলি আরব হাসপাতালই গাজার একমাত্র বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু ছিল না। জাতিসংঘ-চালিত একটি স্কুল যেখানে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিকে আবাসন দেওয়া হয়েছিল, সেখানেও এর আগে হামলা হয়েছিল যেখানে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছিল (আব্দেলহাকিম আবু রিয়াশ-আল জাজিরা)।