আভেশ খান, উমরান মালিক, আর্শদ্বীপ সিং, তিলক ভার্মা— লম্বা তালিকা। এবারের আইপিএলে তরুণ যারা আলো ছড়িয়েছেন তাদের অন্যতম আরেকজন মহসিন খান। নিয়ন্ত্রিত লাইন লেন্থ, গতি এবং ডট বল করার ক্ষমতা, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের সেনশেসন মাত্র চার মাসে হয়ে যাবেন ভারতের সেরা অলরাউন্ডার।
মেগা আইপিএলের নিলাম চলাকালে ২৩ বর্ষী তারকার কোচ বদরউদ্দিন সিদ্দিককে এমন আশ্বাসই দিয়েছিলেন মোহাম্মদ শামি। মহসিনকে চার মাস নিজের সঙ্গে রাখতে পারলে ভারতের অন্যতম অলরাউন্ডার বানানোর কথা বলেছেন ভারতের অভিজ্ঞ পেসার। সেই কথার পালে হাওয়া দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের স্পিডস্টার মহসিনও।
লক্ষ্ণৌর হয়ে ৯ ম্যাচে ১৪.০৭ গড়ে মহসিন নিয়েছেন ১৪ উইকেট। রান দেয়ায় ছিলেন যথেষ্ট কৃপণ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুনীল নারিনের (৫.৫৭) পর গত আসরে সবচেয়ে কম খরুচে বোলার হয়েছেন (কমপক্ষে ৩০ ওভার বল করেছেন এমন বোলারদের মাঝে)।
মারকাটারি ব্যাটাররা মহসিনের থেকে ওভারপ্রতি নিতে পেরেছেন ৫.৭৯ করে। নজরকাড়া বোলিংয়ে আলোচনায় আসলেও ভারত দলে জায়গা হয়নি তার। তবে মহসিন ভালো করবেন, আগেই জানতেন শামি।
“যখন নিলাম চলছিল, তখন শামির ফার্মহাউসে ছিলাম। তাকে বাছাই করা হয়েছিল, মহসিনকেও। শামি আমাকে বলেছিল, ‘আমাকে যদি মহসিনের সঙ্গে চার মাস সময় দেন, তাকে ভারতের সেরা অলরাউন্ডার বানাব।’ সে দুর্দান্ত একজন ব্যাটার। এমনকি লোকেশ রাহুলও বলেছিলেন, মহসিন খেলাটি ভালো বোঝেন।’ বলেছেন মহসিনের কোচ সিদ্দিকি।
সাবেক ছাত্র শামির প্রশংসায়ও মেতেছেন সিদ্দিকি, ‘অনেক বোলার থাকবে, কিন্তু এমন একজনকে প্রয়োজন যার সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া আছে। কোন ব্যাটারের বিরুদ্ধে কোন বল করতে হবে, তা জানতে হবে। আজ শামি অন্যতম তারকা বোলার। তবে সে সবসময় নতুন তারকাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে।’