ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আবারো বিপুল ভোটের ব্যবধানে ২য় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন মো. ইকরামুল হক টিটু। ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়ে তিনি বেসরকাবিভাবে নির্বাচিত হন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাতি প্রতীকের প্রার্থী সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এহতেশামুল আলম পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৭৩ ভোট, হরিণ প্রতীকের কৃষিবিদ রেজাউল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮৭ ভোট ও জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭৬ ভোট।
দ্বিতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইকরামুল হক টিটু বলেন, তিনি নগরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে ভালো কাজের মাধ্যমে তিনি জনগণের ভালোবাসার প্রতিদান দেবেন। দ্রুতসময়ে নগরীর অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করে ময়মনসিংহবাসীকে একটি সুন্দর, আধুনিক ও স্মার্ট নগরী উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সকাল ৮টা থেকেই শুরু হওয়া এ নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটাররা কেন্দ্রে আসা শুরু করেন। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। তবে ইভিএমে ভোটগ্রহনে কিছুটা ধীরগতি ছিল। ইভিএম মেশিনে অনেকের আঙুলের ছাপ ঠিকমতো না ওঠায় তারা ভোট দিতে সমস্যায় পড়েন। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের এমন দৃশ্য দেখা গেছে। বিভিন্ন কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টরা বলেন, আঙুলের ছাপ নিতে দেরি হওয়ায় ভোটগ্রহণ ধীরগতিতে হয়েছে।
এছাড়াও কয়েকটি কেন্দ্রে বয়ষ্ক ভোটাররা ইভিএম এ ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তবে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় ভোটাররা উচ্ছ্বাস ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫জন, ৩৩টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন, ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৮টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৯৯০টি। নির্বাচনী দায়িত্ব ছিলেন ৩ হাজার ২৫৩ জন কর্মকর্তা। মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬। এর মাঝে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩২, নারী ভোটার ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৫ জন।