রাজধানীর গুলশানে উদ্বোধন হলো ‘ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’। এটি দেশের প্রথম ল্যান্ডস্কেপ, ফ্লোরাল এবং ডেকোরেটিভ প্লান্ট এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার। এই উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার ১ সেপ্টেম্বর গুলশান ২-এর ১০১ নাম্বার রোডের ১২ নাম্বার বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ‘ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’-এর কর্ণধার নিলুফার ফারুক, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির, ভাইস চেয়ারম্যান হাসনিন মুক্তাদির, পানসুপারির স্বত্বাধিকারী এবং বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা কনা রেজা, অভিনেত্রী ও নির্মাতা নীমা রহমানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এই সেন্টারটিতে ডেকোরেটিভ ইনডোর প্লান্ট এবং ফ্লোরাল গিফট আইটেমের এক বিশাল কালেকশন থাকবে। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক এবং উন্নতমানের ল্যান্ডস্কেপিং সলিউশন প্রোভাইড করবে। এই এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারটি এখন থেকে ডেকোরেটিভ প্লান্ট এবং ফুলের গিফট আইটেম ডিসপ্লে এবং বিক্রি করবে এই এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার থেকে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার নিলুফার ফারুক জানান, করোনার কারণে অনেকদিন ধরেই ইকেবানার কার্যক্রম শ্লথ ছিল। কিন্তু সবকিছু অতিক্রম করে তিনি আবার নতুন করে ইকেবানাকে সবার সামনে নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, তার এই উদ্যোগে ব্যবসার চেয়ে সবাইকে প্রকৃতির বন্ধনে বেধে রাখাটাই মূল উদ্দেশ্য। কেননা প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ ভীষণরকম প্রকৃতিবিমুখ হয়ে পড়ছে। নতুন প্রজন্মের সাথে প্রকৃতির দৃঢ় কোন বন্ধন তৈরি হচ্ছে না। স্কুলের শিক্ষার্থীরা গাছপালা চিনতে পারছে না। ফলে এই উদ্যোগে রয়েছে প্রকৃতির কাছে সবাইকে নিয়ে আসা।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতিই প্রাণ, প্রকৃতিই শক্তি। পরিবেশ রক্ষায় আমাদেরকে প্রকৃতিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। প্লাস্টিকসহ অন্যান্য জিনিস বর্জন করতে হবে।’
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার নিলুফার ফারুক জাপানের ওহারা স্কুল অফ ইকেবানা থেকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন ইকেবানা আর্টিস্ট। তিনি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ল্যান্ডস্কেপ এবং ফ্লোরাল ব্যবসার সাথে জড়িত। ‘ইকেবানা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’-এ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা। যে কেউ ওখানে গিয়ে পছন্দের বা প্রিয় গাছ সংগ্রহ করতে পারবেন।