এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে বাবর আজম ও ইফতিখার আহমেদের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল পাকিস্তান। বড় লক্ষ্যে ব্যাটে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি নেপাল। শাদাব খানের চার উইকেটে ২৩৮ রানের বড় জয় দিয়ে আসর শুরু করলো স্বাগতিক দলটি।
মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক অধিনায়ক বাবর আজম। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাটে নেমে ২৩.৪ ওভারে ১০৪ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল।
৩৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটে নেমে প্রথম ওভারেই দুই ব্যাটারকে হারায় নেপাল। শাহিন শাহ আফ্রিদির শিকার হয়ে পরপর দুইবলে ফেরেন কুশাল ভুরতেল ও রোহিত পাউদেল। পরের ওভারে তৃতীয় ব্যাটারকে ফেরান নাসিম শাহ। দলীয় ১৪ রানে ফিরে যান আসিফ শেখ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৯ রান তোলেন আরিফ শেখ সোমপাল কামি। ১৪.৪ ওভারে হারিস রউফের শিকার হয়ে ফেরেন আরিফ। ৩৮ বলে ২৬ রান করেন তিনি।
১৬.৬ ওভারে দলীয় ৮২ রানে হারিসের দ্বিতীয় শিকার হন সোমপাল। ৪৬ বলে ২৮ রান করেন তিনি। নেপালের ব্যাটারদের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ২০.৫ ওভারে দলীয় ৯০ রানে দিপ্রেন্দ্র সিংকে ফেরান মোহাম্মদ নাওয়াজ।
এরপর ৯১ থেকে ১০৪ রানের মধ্যে বাকী চার ব্যাটারকে শিকার করেন শাদাব খান। ৬.৪ ওভার বল করে ২৭ রানে ৪ উইকেট নেন শাদাব। শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রান তোলে পাকিস্তান। তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান অধিনায়ক বাবরের। আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি আসে ১০৯ বলে। এশিয়া কাপে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক হয়েছেন বাবর। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ১৫০ রানের দেখা পেয়েছেন। ১৩১ বলে ১৫১ রানে সোমপারের বলে ক্যাচ হয়ে থামে তার ইনিংস। যা ১৪ চারের সঙ্গে ৪ ছয়ের মারে সাজানো।
ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ডানহাতি ইফতিখার আহমেদের। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি মাত্র ৬৭ বলে তুলেছেন। ঝড়ো ইনিংসে ৭১ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংস সাজানো ১১ চারের সঙ্গে ৪ ছক্কায়।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ইফতেখার ও বাবর ১৩১ বলে ২১৪ রানের বিশাল জুটি গড়েন। জুটিতে বাবরের ৬০ বলে ১০২ এবং ইফতিখারের ৭১ বলে ১০৯ রানের অবদান।
নেপালের বিপক্ষে ভালো শুরু করতে পারেননি পাকিস্তানের ওপেনাররা, ২৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফখর জামান (১৪) ও ইমাম উল হকের (৫) উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। তিনে নেমে বাবর ১০৬ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাথে।
দিপেন্দ্র আইরের দুর্দান্ত থ্রোতে রানআউট হওয়ার আগে রিজওয়ান করে যান ৪৪ রান। পরে আগা সালমানের সাথে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন বাবর। ডানহাতি আগা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সন্দ্বীপ লামিচানের বলে আউট হওয়ার আগে করেন মাত্র ৫ রান।
নেপাল পেসার সোমপাল কামি ১০ ওভারে ৮৫ রানে নেন ২টি উইকেট। পেসার কারান খেত্রী ছেত্রী ৯ ওভারে ৫৪ রানে একটি ও স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে ১০ ওভারে ৬৯ রানে একটি করে উইকেট নেন।