চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও একটি আইসিইউ শয্যা না পেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শাহীনের মৃত্যু হল। তরুণ শাহীনের মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর গত তিন বছরেরও কেন জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ সুবিধা বাস্তবায়ন করা যায়নি?
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর পরদিন ফেনী শহরের কাছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ৩৮ বছরের তরুন শাহীন। চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য তাকে নিয়ে ঘুরেছেন স্বজনেরা কিন্তু কোথাও কোনও আইসিইউ খালি না থাকায় একরকম বিনা চিকিৎসায় এম্বুলেন্সেই গত মঙ্গলবার শাহীনের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় গরিব মানুষের চিকিৎসার নিশ্চয়তায় রাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নটা আবারও সামনে আসে। যদিও করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে জেলা পর্যায়ে ৪৩টি স্থানে ১০ শয্যার এবং সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের নির্দেশ দেন। তবে এখনও কেন প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন হয়নি সেই প্রশ্ন জোরেসোরেই উঠেছে।
কোভিড-১৯ বাবস্থাপনার অংশ হিসেবে ক্রিটিকাল কেয়ার কমিটির সভাপতি বলছেন প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনার পর বাংলাদেশ এনেস্থেসিওলজিস্ট সোসাইটির উদ্যোগে অতিরিক্ত আইসিইউ শয্যা চালুর কার্যক্রম হিসেবে জনবল তৈরি করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে ‘ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস’ চালু করে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রেফার করলে এবং সত্যিকারের মুমূর্ষু রোগীদের আইসিইউ প্রাপ্তি নিশ্চিত করলে এমন ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
কিছু কিছু হাসপাতালে শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগী মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখানে নেই আইসিইউ-এ সেবা প্রদান করার জন্য প্রশিক্ষিত নার্স ও চিকিৎসক।আইসিইউ শয্যা সংকট এর কারনে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে চিকিৎসা পাচ্ছেনা স্থানীয় পর্যায়ে মুমূর্ষু রোগিরা।