অস্ট্রেলিয়া দলে খুব করেই হানা দিয়েছে করোনা। লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার পর এবার বিশ্বকাপের স্বাগতিকদের আরেকজন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলেন, তিনি দলের একমাত্র উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড।
ওয়েডের শরীরে মৃদু উপসর্গ রয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি না হলে শুক্রবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে খেলবেন।
অস্ট্রেলিয়ান দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ৩৪ বছর বয়সী ওয়েড কোভিড টেস্ট করিয়েছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
অজিদের ১৫ জনের দলে ওয়েডই একমাত্র উইকেটরক্ষক। গত সপ্তাহে গলফ খেলতে গিয়ে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান আরেক উইকেটরক্ষক জশ ইংলিশ। তার পরিবর্তে দলে অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে নেয়া হয়।
শরীরে মৃদু উপসর্গ থাকলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেননি জাম্পা। একাদশে ছিলেন অ্যাশটন অ্যাগার। প্রশ্ন উঠেছে, যদি ইংলিশদের বিপক্ষে ওয়েড খেলতে না পারেন তাতে কার হাতে থাকবে গ্লাভস।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জংশন ওভালের ইনডোর নেটে অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলনে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সহকারী কোচ আন্দ্রে বোরোভেকের সাথে গ্লাভস পরে অনুশীলন করতে দেখা গেছে।
অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ওয়েডের অনুপস্থিতিতে ডেভিড ওয়ার্নার স্টাম্পের পেছনে দাঁড়াতে পারেন।
করোনাবিধি অনুযায়ী, ওয়েড একাদশে থাকলে তাকে আলাদাভাবে মাঠে নামতে হবে। অন্য খেলোয়াড় এবং সহায়তা কর্মীদের সঙ্গে সংস্পর্শে আসা যাবে না। খেলার আগে বা খেলা চলাকালীন টিম ড্রেসিংরুম ব্যবহার করতে পারবেন না।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য অবশ্য সুখবরও আছে। করোনা নেগেটিভ হয়ে জাম্পা নেটে বোলিং করেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার একাদশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও খেলেছিলেন আয়ারল্যান্ডের জর্জ ডকরেল। আইসিসির নতুন নিয়মে কোভিড আক্রান্ত হলেও খেলার বিধান রাখা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান সরকার মাসের শুরুতে করোনা আক্রান্তদের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে থাকার নিয়মটি বাতিল করেছে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে কঠোর বায়োবাবল মেনে যে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ায় সেটি অনেকটাই শিথিল।