টাঙ্গাইলে স্বামী আবু সাইদ সেন্টুকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী হৃদয় বানুকে আটক করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার সাড়ে ১১ টায় র্যাব-১২ এর ৩ নং কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবু সাইদ সেন্টু টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তারটিয়া গ্রামের মৃত ওমর আলী খানের ছেলে। হৃদয় বানুর বাবার বাড়ি হবিগঞ্জে।
মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, দুই বছর আগে সেন্টু সৌদি আরবে থাকাকালীন তার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে হৃদয় বানুকে বিয়ে করেন। বিয়ের চার মাসের মধ্যে হৃদয় বানু সন্তান সম্ভাবনা হয়ে পরেন। সাত মাস পর দেশে চলে আসেন। হৃদয় বানু দেশে এসে গাজীপুরের টঙ্গীতে সেন্টুর বড় ভাই খোরশেদের ভাড়া বাসায় উঠেন। এক মাস পর সেন্টু দেশে চলে আসেন। টঙ্গীতেই হৃদয় বানু কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। গত দুই ৬মাস আগে তারা টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা ধোপাপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে হৃদয় বানু বসবাস কররেও সেন্টু মাঝে মাঝে আসতো। হৃদয় বানুর ভরণপোষন ও ঠিক মতো যোগাযোগ করতেন না। এতে হৃদয় বানুর স্বামীর প্রতি রাগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও জানান, গত ২৭ জুলাই রাত ৯ টায় সেন্টু হৃদয় বানুর বাসায় গিয়ে বিদেশ যাওয়ার বিমানের টিকিটের কথা বলে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। রাতেই হৃদয় বানু তার বাবার বাড়ি থেকে বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা সেন্টুকে দেন। টাকা পেয়ে সেন্টু বাড়ি চলে যেতে চাইলে তাকে বাঁধা দেন। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। রাত ২টার দিকে দুজনে একত্রে বিছানায় শুয়ে থাকেন। সেন্টু ঘুমিয়ে পড়লে হৃদয় বানু পেটের মধ্যে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান। সকালে তাদের শিশু মেয়ের কান্নার শব্দ পেয়ে পাশের ভাড়াটিয়া ঘরে গেলে সেন্টুর মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে। ২৯ জুলাই সেন্টুর প্রথম স্ত্রী নাহিদা খানম বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, হবিগঞ্জ বাপের বাড়ি থেকে সোমবার রাতে হৃদয় বানুকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।