চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মিয়ানমারে ‘মোখা’র তাণ্ডবে শতাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা

মিয়ানমারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানার পর শতাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে, টেলিফোনের খুঁটি ও গাছ উপড়ে পড়াসহ বিভিন্ন জায়গার যোগাযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। রবিবার ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের উপকূলের স্থলভাগে আঘাত হানার পর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৬ মে স্থানীয় একটি সাহায্যকারী সংস্থা ও একজন রোহিঙ্গা অধিকারকর্মীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

দেশটির সামরিক জান্তার মায়াওয়াদ্দি টিভি ঘূর্ণিঝড়ে ৩ জন নিহত ও ১৩ জনের আহত হবার খবর প্রচার করেছে। তবে, জান্তা বিরোধীরা বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে গত রোববার ১৪ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আঘাত হানে মোখা। সোমবার এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে ইউএসওসিএইচএ বলেছে, ‘প্রাথমিক তথ্য দেখাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। এছাড়া গৃহযুদ্ধের কারণে যেসব মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন তাদের আরও বেশি সাহায্যের প্রয়োজন হবে।’

ঘূর্ণিঝড়টি যে পথে গিয়েছে সে পথে প্রায় ২ লাখ মানুষের বসবাস ছিল। যার মধ্যে রয়েছেন রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষও। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী দমন-পীড়ন শুরু করলে অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। আবার অনেকে রাখাইনেই থেকে যান। যারা রাখাইনে ছিলেন তাদেরও বেশিরভাগ এখন আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করেন।

স্থানিয়রা জানায়, রোহিঙ্গাদের অনেক মৃতদেহ ইতিমধ্যেই ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে দাফন করা হয়েছে।