মিয়ানমারের কারাগারে বন্দী ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক নৌপথে দেশে ফিরেছে। রাখাইনের কারাগারে বন্দী নাগরিকদের নাগরিকত্ব যাচাই শেষে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সামরিক কর্মকর্তাদেরও প্রত্যাবাসন ২ দিনের মধ্যে শেষ হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বুধবার ২৪ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে নাগরিকত্ব যাচাই-বাচাই শেষে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে আনা হয়।
এছাড়া মিয়ানমারে চলমান আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন আগামীকাল ২৫ এপ্রিল ও প্রয়োজনে ২৬ এপ্রিল সম্পন্ন হবে। কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে।
প্রত্যাগমনকারী বাংলাদেশীদের নিয়ে মিয়ানমারের জাহাজ ‘চিন ডুইন’ বাংলাদেশে এসেছে এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্যদের নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
প্রথমে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন, এমন ১৪৪ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত এবং বিচারাধীন সকল নাগরিকত্ব যাচাইকৃত বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়। ফলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আরও ২৯ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি প্রদান করে।
মিয়ানমারের জাহাজযোগে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্য সদস্যদের প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা সিভিল সার্জন ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে।