চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাড়ছে হরতাল অবরোধ। এতে করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি যানবাহনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানিয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।
সংগঠনটির সদস্যরা “আগুন সন্ত্রাস মানবাধিকার লঙ্ঘন : রুখে দাও আগুন সন্ত্রাস” এই প্রতিপাদ্যে এফডিসিতে দুপুরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমিতির সেক্রেটারি নিপুণ আক্তারসহ কমিটির সদস্য চিত্রনায়ক রিয়াজ, ফেরদৌস, অঞ্জনা।
আরও ছিলেন চিত্রপরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, শাহ আলম কিরণ, অভিনেত্রী নূতন, তারিন, অভিনেতা আহসানুল হক মিনু প্রমুখ।
এ সময় রিয়াজ বলেন, বিজয়ের মাসে মানবাধিকার দিবসে বলতে চাই, আগুন সন্ত্রাস একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। আমরা এর তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাই। আগুন সন্ত্রাসের কারণে বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হচ্ছে। তাদের ছুটির দিনে স্কুলে যেতে হচ্ছে। স্কুলের শিডিউল যেমন পরিবর্তন হচ্ছে, বাজারে জিনিসপত্রের দাম তেমন বাড়ছে; এতে করে যানবাহন চলাচলা না করায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নাগরিক অধিকার যারা খর্ব ও লঙ্ঘন করছে, আমি মনে করি তারা মানবনতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। তাদের এখনই রুখে দিতে হবে। আগুন সন্ত্রাসকে রুখতে না পারলে জনগন ভালো থাকবে না। সুন্দর বাংলাদেশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নষ্ট হতে দেব না। এই দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রার চেষ্টাকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে আমরা মনে করি সেটা এক ধরনের সন্ত্রাস।
আওয়ামী লীগ থেকে এমপি প্রার্থী ফেরদৌস বলেন, যে পুণ্যভূমিতে রাজাকারের শাস্তি হয়েছে, স্বাধীনতার ৫২ বছরে পা রেখেছে সেখানে এখনো আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু কেন? তারমানে রাজাকারের বংশরা এখনো আছে। যার কারণে অগ্নি সন্ত্রাস, বোমা হামলা হচ্ছে। যে দেশ থেকে হরতাল অবরোধ হারিয়ে গিয়েছিল সেগুলো আবার ফিরে এসেছে। কাজেই আমাদের এখনই বুঝতে হবে কোনটা সাদা কোনটা কালো। সবার সমর্থনে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় এনে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চাই।
অভিনেত্রী নিপুণ বলেন, আমরা হরতাল অবরোধ পেট্রোল বোমার বিরুদ্ধে মানবন্ধন করছি। এগুলো ইলেকশন এলেই কেন আরম্ভ হয়? কেন এসবের কারণে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়? যতদিন পর্যন্ত পেট্রোল বোমা বন্ধ না হবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ইলেকশনসহ কিছুই করতে পারবো না।
অভিনেত্রী অঞ্জনা বলেন, গাজায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সেই দিকের মতো আমরা নিজেদের কি দেখছি? কীভাবে দেখবো জ্বালাও পোড়াওয়ের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছি। আমরা শক্ত হাতে এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে বন্ধ করতে চাই।