পিসিওডি যা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম নামেও পরিচিত। এই সমস্যায় আজ-কাল অনেক মেয়েই ভোগে। ভারতীয় এক গবেষণার পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছরে পিসিওডি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মূলত ‘হরমোনাল ডিজঅর্ডার’ এই শারীরিক সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে।
পিসিওডি থাকলে সাধারণত, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তবে শুধু ওষুধ না খেয়ে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তনের মধ্যেও পিসিওডি কমানো সম্ভব।
সুষম খাবার খান
খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ম মেনে চললে পিসিওডি থাকলেও বাড়াবাড়ি হওয়ার ভয় নেই। এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলা উচিত। বাইরের ভাজাপোড়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। স্বাস্থ্যকর খাবার যত বেশি করে খাবেন, পিসিওডি নিয়ে চিন্তা তত কমবে।
কম ‘জিআই’ যুক্ত খাবার খান
কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে পিসিওডির সমস্যা কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকছে। তাই ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ কম আছে, এমন খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন ধরনের শস্য, সবুজ শাকপাতা, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, নানা ধরনের ডাল বেশি করে খান। এ ধরনের খাবার শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা পিসিওডির ক্ষেত্রে অন্যতম সুরক্ষাকবচ।
বাইরের খাবার খাওয়ায় রাশ টানুন
চিনিযুক্ত খাবার, সোডাজাতীয় পানীয়, ভাজাভুজি একেবারেই খাবেন না পিসিওডি থাকলে। কারণ, এগুলো ওজন বাড়িয়ে দেয়। বিকল্প হিসাবে খেতে পারেন এমন কিছু খাবার, যেগুলো শরীরের যত্ন নেয়। কাঠবাদাম, ড্রাই ফ্রুটস, ফল বেশি করে খান। অনেকটাই সুস্থ থাকবেন।