বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মানবিক সংকট ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র সমাধান, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমার স্ব-সম্মানে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবেন বলে মনে করেন সরকার প্রধান।
আজ (১১ জুন) মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি প্যানেল ডিসকাশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একথা ভুলে গেলে চলবে না, এদেশে আশ্রিত বিশাল জনগোষ্ঠীটি আমাদের অঞ্চলের জন্য একটি মানবিক ও নিরাপত্তার হুমকি। তাদের নিরাপদ ও সসম্মানে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই কেবল এই সংকটের টেকসই সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব। আমি আশাকরি, মিয়ানমার খুব দ্রুত তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, মহামারির এই সময় বাংলাদেশ প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে ভুলে যায়নি। তাদের নিয়মিত পরীক্ষা, টিকা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করি। আরো আড়াই হাজারটি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করে এবং আমাদের স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। এতে করে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয় যে, জাতিসংঘ আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। একই সঙ্গে এ উদ্ভাবনী চিন্তাকে বিশ্বের সব দেশকে অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য অর্জন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা আগামী ৭৫ বছর এবং এর পরের বছরগুলোতেও যেন অর্থপূর্ণভাবে সমগ্র মানবতার সেবা করে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।