বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চলে এসেছে ঈদুল আজহা। কোরবানির মাংস কাটাকাটি থেকে ভাগাভাগি। এরপর শুরু হয় অতিথি আপ্যায়ন। সারা দিন কেটে যায় এমন নানা ব্যস্ততায়। ঈদের দিন ব্যস্ততার চাপ কমাতে কিছু কাজ আগে থেকে গুছিয়ে রাখলে বাড়তি ঝামেলায় আর পড়তে হয় না।
কী কী কাজ আগে থেকেই গুছিয়ে রাখতে পারেন আসুন জেনে নেই:
কোরবানি মানেই রান্নাবান্না আর রান্না মানেই মশলা। মশলা বাটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। তাই ঈদের আগেই রান্নায় যে মসলাগুলো ব্যবহার করবেন তা পাটায় বেটে কিংবা ব্লেন্ড করে ফ্রিজে রেখে দিন। এতে করে ঈদের দিন রান্না করার সময় আপনার অর্ধেক কাজের ঝামেলা কমে যাবে।
এবার ফ্রিজের পরিছন্নতা। কোরবানির মাংস যেহেতু ফ্রিজে রাখবেন সেই ক্ষেত্রে এখন থেকেই ফ্রিজ পরিষ্কার করে রাখা দরকার। শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসই ফ্রিজে রাখুন।
ঈদের দিন যেহেতু রান্না ঘরেই বেশি কাজ হবে, সেই ক্ষেত্রে রান্না ঘর আগে থেকেই পরিস্কার করে রাখুন। সাথে গুছিয়ে রাখুন রান্নায় ব্যবহারিত প্রয়োজনীয় সামগ্রী। যেন ঈদের দিন ব্যস্ততায় রান্নার সময় জিনিস পত্র খুঁজে পেতে সময় না লাগে।
ঈদে যেহেতু বাজার করার প্রয়োজন পরে সেজন্য প্রয়োজনীয় জিনিস সামগ্রীর যেমন, আলু, পিঁয়াজ , রসুন , কাঁচা মরিচ, লবণ, মশলা ইত্যাদি একটি লিস্ট করে ফেলুন। লিষ্ট অনুযায়ী বাজার করে আগে থেকে গুছিয়ে রাখুন।
এবার চলে আসি অতিথি আপ্যায়নে। বাড়িতে অতিথি এলে তাদের যেসব থালা বাসনে খাবার পরিবেশন করবেন তা আগে থেকেই পরিষ্কার করে রাখুন। বাসাকে সুন্দর গুছিয়ে রাখতে,বাসার আনাচে কানাচের ধুলোবালি ঝেড়ে পরিষ্কার করে নিন। এছাড়া ঘরের জিনিসপত্র যেমন খাবার টেবিল, আসবাপত্র, চাদর, পর্দা, সোফার কাভার সব কিছু এখনই পরিষ্কার করে ফেলুন।
এতো কিছুর পর নিজের খেয়াল রাখাটাও তো জরুরী? ঘরে বসেই নিতে পারেন ত্বকের যত্ন। এছাড়া নিজেকে হাইড্রেট্রেড রাখতে প্রচণ্ড গরমে কাজের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।
কোরবানির কাজে ব্যবহৃত দা, ছুরি এবং বটিতে আগে থেকেই ধার দিয়ে নিন। অতিরিক্ত ধার না দেয়াই ভালো যেন কাজ করার সময় হাত কেটে না যায়।
কোরবানির ঈদে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন। এসময় পশুর রক্ত ও বর্জ্য জমে দুর্গন্ধ হওয়াটা সাধারণ। তাই এসব বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা করে রাখা ভালো। ঘরে ব্লিচিং পাউডার, জীবাণুনাশক পাউডার কিনে রাখুন।