স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, দেশে যারা একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, সেই পরিস্থিতিকে শান্ত করার জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে মা দুর্গা আসছে।
বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর রাতে খামার বাড়িতে শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে অশান্তি বিরাজ করছে, এই দেশে যারা একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, সেই পরিস্থিতিকে শান্ত করার জন্য মা দুর্গা আসছে। আমাদের যে অস্থির পরিবেশ, অনেকে অনেক রকম হুমকি-ধমকি দিচ্ছে সেটা বাদ দিয়ে মা দুর্গার আশীর্বাদে বাংলাদেশ একটি শান্তির বাংলাদেশ তিনি করে দেবেন। যেখানে সবার শান্তিতে থাকার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পেছনে ফিরে গেলে আপনারা দেখবেন আগে কিন্তু হিন্দু-মুসলমান মিলে এই আমাদের বাঙালি সমাজে সম্প্রীতি ছিল। তখন হিন্দুদের পূজায়, মুসলমানদের ঈদে আমরা সবাই সবার উৎসবে যেতাম। সবাই সবার আনন্দে ভাগীদার হতাম। মাঝখানে যখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসলো না, তখন আমাদের এই চর্চার, এই সংস্কৃতিটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আবারও ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান সবাই মিলে বাংলাদেশ, সবাই মিলে ভাই, সেই চেতনা তিনি আবারও ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পূজামণ্ডপে গত কয়েক বছর যেহেতু কিছু ঘটনা ঘটেছে, পূজার শেষে কিংবা শুরুতে, এজন্য আমরা স্থায়ী আনসার দিয়েছি, পুলিশ থাকবে, সবাই থাকবে। পূজামণ্ডপে চারদিকে যেন সিসি ক্যামেরা থাকে এবং পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক থাকে, প্রতিটি মণ্ডপের পক্ষ থেকে সেটি করা হয়েছে। কোন ধরনের নাশকতা যাতে না হয় আমরা সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: মানুষ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ পছন্দ করে না। দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়নি। সমাবেশের নামে বিএনপি যতই এগুলো করবে ততই তলিয়ে যাবে। ততই তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘের সভাপতি ও কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।
শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার মজুমদার।