স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, চাঁদাবাজির চাইতে অধিকতর মুনাফার চিন্তাভাবনার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে। তবে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের স্পেশাল ড্রাইভ চলছে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি’ কোর্স উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজির থেকে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। চাঁদাবাজি দেখলেই পুলিশ অ্যাকশন নেয়। রমজানে রেখে যারা চাঁদাবাজি ও অধিক মুনাফা করছে তাদের স্পেশাল ফোর্সের আওতায় আনা হবে। নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি না হলে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ নিয়ে নিয়মিত মনিটরিংয়ের কাজ চলছে।
বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে যেসব সংস্থা কাজ করছে তাদের আইনশৃংখলা বাহিনী সহযোগিতা করবে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সড়কে চাঁদাবাজি রোধে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। বাকিগুলো নিয়েও কাজ হচ্ছে।
নিত্যপণ্যের যারা অতি মুনাফা করে দাম বৃদ্ধি করছে তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন, জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন ফোর্স এখানে কাজ করে। যখনই নজরে আসে তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করে।
তিনি বলেন, যারা অধিক মুনফা করছে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে পাড়ায়-মহল্লায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু হলে অধিক মুনাফা রোধ করা সম্ভব হবে।
সাম্প্রতিক সময়ের অগ্নিকাণ্ড নাশকতা নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো অবহেলাজনিত এবং দুর্ঘটনা। নাশকতার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে সতর্ক থাকলে অগ্নিকাণ্ড রোধ সম্ভব।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে আসাদুজ্জামান খান বলেন: সিলিন্ডার কিংবা গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা দরকার। ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী অগ্নিকাণ্ড রোধে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযোজন করলে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম।