দুইবার এগিয়ে গিয়েও উত্তেজনা আর নাটকীয়তায় ঠাসা লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে গোল উৎসবের ম্যাচে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে গার্দিওলার দল।
টানা তিন খেলায় পয়েন্ট হারানোর পাশাপাশি রেফারির ‘ভুল’ মানাটাই স্প্যানিশ কোচের পক্ষে হচ্ছে কষ্টকর। ম্যাচের এমন ফলে টটেনহ্যাম খুশি হয়েছে বলে ধারণা ম্যানসিটি বসের।
নির্ধারিত সময় শেষে সিটিজেনদের সুযোগ ছিল ব্যবধান বাড়িয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার। যোগ করা সময়ে গোল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও রেফারির ‘ভুলে’ গোলের সুযোগ নষ্ট হয়।
পাল্টা আক্রমণ থেকে মাঝবৃত্তে পান আর্লিং হলান্ড। ওই সময় হলান্ড ফাউলের শিকার হলেও উঠে দাঁড়িয়ে সতীর্থ গ্রিলিশকে দারুণভাবেই পাস দেন। টটেনহ্যামের রক্ষণের অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে গ্রিলিশ যখন এগোচ্ছেন, তখনই বাজে রেফারির ফাউলের বাঁশি।
সিটির যে ‘সুবিধা’ প্রাপ্য, সেটি যেন ভুলেই গিয়েছিলেন রেফারি। দেরিতে ফাউলের বাঁশি বাজানোয় রেফারির উদ্দেশ্যে চিৎকার করে হালান্ড প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনি কেন খেলা চালিয়ে গেলেন না?’ চিৎকার করায় হলুদ কার্ডও দেখেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেন, ‘তিনি (রেফারি) যদি আজ ম্যানসিটির হয়ে খেলতেন, তবে আমি নিশ্চিত এমন সিদ্ধান্তে তিনিও হতাশ হতেন। আমরা যে কেউই ভুল করতে পারি। এমনকি আমিও ভুল করি, খেলোয়াড়রা ভুল করে। কিন্তু আজকের ম্যাচে যখন হালান্ড পড়ে যায়, তখন খেলা চালিয়ে যেতেই বলা হয়েছিল। পড়ে যাওয়ার থেকে উঠে সে পাস দেয়ার পরে তিনি (রেফারি) খেলা বন্ধ করে দেন।’
‘আমি তার সমালোচনা করতে চাই না। মাঝে মাঝে টাচলাইনে আমিও অনেক সময় মনোযোগ হারিয়ে ফেলি। আমার অঙ্গভঙ্গি সঠিক থাকে না। কিন্তু এসবের জন্য আমাদের ড্র কাম্য নয়। যাইহোক, স্পার্স এক পয়েন্ট নিয়ে খুশি, আমরা একটু কম খুশি।’
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার রাতে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে ইতিহাদের ৫৪ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে দেন টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ড সন হিউং-মিন। তবে তিন মিনিট পর তিনি নায়ক থেকে খলনায়ক বনে যান। নিজেদের জালে বলে জড়িয়ে দেন হিউং-মিন। ৩১ মিনিটে ফিল ফোডেনের লক্ষ্যভেদে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি।
৬৯ মিনিটে সনের পাস থেকে বল পেয়ে তা জালে জড়ান আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লো সেলসো। তাতে ২-২ ব্যবধানে সমতায় ফেরে টটেনহ্যাম। ৮১ মিনিটে সিটিজেনদের ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন জ্যাক গ্রিলিশ।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে টটেনহ্যামের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন দেজান কুলুসেভস্কি। তাতে ড্র নিয়েই দুই দলকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।