হোবার্টে জিম্বাবুয়ের চ্যালেঞ্জের জবাব দারুণভাবে দিচ্ছিল সাউথ আফ্রিকা। মাঝে বৃষ্টি নামলে লক্ষ্য ৮০ থেমে নেমে ৬৪ রানে দাঁড়ায়, সেই পথেও সুপারসনিক ছিলেন ওপেনার ডি কক। কিন্তু বৃষ্টি বাধায় পারলেন কই! দান দান তিন দান অর্থাৎ, বৃষ্টির তৃতীয় চেষ্টায় শঙ্কায় থাকা ম্যাচটি শেষপর্যন্ত হয়েছে পরিত্যক্ত।
বেলেরিভ ওভালে বৃষ্টির চোখ রাঙানি দেখে সকালে খেলেছে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস। দিনের অন্য খেলা নিয়ে শঙ্কাটা বাস্তব হয়েও যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ায়। কমে আসে ৯ ওভারে। জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ৭৯ রান। জবাবে ৩ ওভারে ৫১ রান তুলে ফেলেছিল সাউথ আফ্রিকা। শেষঅবধি পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল দুদলকে।
সোমবার গ্রুপ ২-এর ম্যাচে ৮০ রানের লক্ষ্যে মারমুখী থাকেন ডি কক। টেন্ডাই চাতারার প্রথম ওভারে তুলে নেন ২৩ রান। রিচার্ড এনগ্রাভা বোলিংয়ে আসলে আকাশ ছাপিয়ে বৃষ্টি আসে। খেলা দ্বিতীয়বারের মতো বন্ধ হয়। কিছুক্ষণ পর খেলা শুরু হলে লক্ষ্য ৭ ওভারে ৬৪ রানে আসে।
দ্বিতীয় ওভারে ১৭ রান তোলেন ডি কক। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। পরিত্যক্ত হওয়ার আগে ইনিংসের দুটি বল খেলতে পারেন টেম্বা বাভুমা, করেন ২ রান। বাকি ৫১ রানের ৪৭-ই ডি ককের।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়া পেসারদের তোপে পড়েন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ওয়েইন পারলেন ছিলেন দুর্দান্ত। দুই ওভারে ছয় রান খরচ করে ফিরিয়েছেন অধিনায়ক আরভিনকে। ২০ রান খরচায় দুটি উইকেট তুলেছেন লুনগি এনগিডি।
৬ রানে প্রথম উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের পরের জুটিও ৬ রানের। দলীয় ১২ রানে চাকাভা ফিরলে কোনো রান না করেই সাজঘরে হাঁটা দেন ইনফর্ম ব্যাটার সিকান্দার রাজা। তাকে শূন্য রানে ডি ককের ক্যাচ বানিয়েছেন এনগিডি। বাকি পথ অবিচ্ছিন্ন থেকে পার করে দিয়েছেন মাধেভেরে-মিল্টন।
নর্টজে-রাবাদাদের উপর চড়াও হয়ে শেষদিকে রান এনেছে জিম্বাবুয়ে। ৬০ রানের জুটিতে ১৮ বলে ৩৫ রানের অবদান মাধেভেরের। ইনিংস সাজিয়েছেন চার চার ও এক ছক্কায়। ২০ বলে ১৮ রান করে সঙ্গ দিয়েছেন সুম্বা।