অনলাইন ও সাইবার স্পেসের মাধ্যমে উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’র দুজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ওমর ফারুক ওরফে এস.এম রোকনুজ্জামান ওরফে আবদুল্লাহ ওরফে ওসমান (২৮) ও মো. আসিফ শাহরিয়ার ওরফে সোহেল হাট ওরফে জাদ্দারি বিশ্বাস (২১)।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে এসব তথ্য জানান এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মাহফুজুল আলম রাসেল।
তিনি বলেন, এটিইউয়ের নিজস্ব নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী মহানগরের রামচন্দ্রপুর কেদুর মোড় বৌ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ‘হিযবুত তাহরীর’র কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন, তিনটি সিম কার্ড, হিযবুত তাহরীরের প্রচারপত্র, এজেন্ডা সম্বলিত হিযবুত তাহরীরের উদ্দেশ্য, কার্যক্রম, খিলাফত প্রতিষ্ঠার আহবান, দল গঠনের প্রক্রিয়া, রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র বিরোধী লেখনীসহ বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী দালিলিক কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল আলম রাসেল আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা রাজশাহী মহানগরের রামচন্দ্রপুর কেদুর মোড় বৌ বাজারের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে গোপনে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কার্যক্রম পরিচালনা, সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে গোপন বৈঠকে বসে সরকার উৎখাত ও তথাকথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে নিয়োজিত ছিল। গ্রেপ্তার ওমর ফারুক ওরফে এস.এম রোকনুজ্জামান ওরফে আবদুল্লাহ ওরফে ওসমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে ২০২০ সালে স্নাতক সম্পন্ন করে বর্তমানে একটি হার্ডওয়ার কোম্পানিতে কর্মরত।
এটিইউয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার আসিফ শাহরিয়ার ওরফে সোহেল হার্ট ওরফে জাদ্দারি বিশ্বাস বর্তমানে রাজশাহী সরকারি কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র।
গ্রেপ্তাররা প্রায় ৫ বছর ধরে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীররের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তারা উভয়েই রাজশাহী অঞ্চলে হিযবুত তাহরীরের অন্যতম সংগঠক হিসেবে কাজ করে আসছে।
গ্রেপ্তাররা বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে আসছিলো। হিযবুত তাহরীরের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র, হত্যা, দেশে অস্থিতিশীলতা ও অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজশাহী শহরের বিভিন্ন স্থানে সরকার বিরোধী পোস্টারিং, অনলাইন ও সাইবার স্পেসের মাধ্যমে উগ্রবাদী, জননিরাপত্তা বিঘ্ন, জনমনে ত্রাস ও আতংক সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করে আসছিলো।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।