রাজধানীর স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৯ সালে এসএসসি এবং ২০১১ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করে মো. মাহামুদ হাসান (৩০)। পরে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিবিএ সম্পন্ন করে।
মাহামুদ ঢাকার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষকের মাধ্যমে “হিযবুত তাহরীর” সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়। সে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র জঙ্গীবাদী বই প্রচার ও নওযুবক তথা তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করে আসছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “হিযবুত তাহরীর” শীর্ষ নেতা এবং দাওয়াতি বিভাগের দায়িত্বশীল সদস্য মো. মাহামুদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২।
শুক্রবার র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল হক এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মো. মাহামুদ হাসান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর এর শীর্ষ জঙ্গি নেতা এবং দাওয়াতি বিভাগের দায়িত্বশীল সদস্য। তার নেতৃত্বে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মসজিদের সামনে “হিযবুত তাহরীর” সদস্যদের নিয়ে ঝটিকা মিছিল করে থাকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিটিং করে “হিযবুত তাহরীর” লিফলেট এবং পোষ্টার বিতরণের মাধ্যমে সরকার এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম করে থাকে।
র্যাব-২ এর এই কর্মকর্তা বলেন, এজাহার ও চার্জশীটভুক্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে জামিনে বের হয়ে পলাতক থেকে দীর্ঘ দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে চলে এবং জঙ্গী সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। মাহামুদ হাসানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও পল্টন থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। মোহাম্মদপুর থানার মামলায় বিজ্ঞ আদালতের রায়ে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের রায় ঘোষণার সময় সে পলাতক ছিল।
মাহামুদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “হিযবুত তাহরীর” অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে। এছাড়াও মাহামুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।