ভারতের বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’র কারণে ভারতীয় এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছে। এর আগে পারিবারিক আদালতে তাদের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
রোববার ২১ এপ্রিল হিন্দুস্তান টাইমস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মার্চে বিয়ে হয়েছিল এই দম্পতির। কিন্তু বিয়ের ১৭ দিন পরই তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ এপ্রিলে উচ্চ আদালতের এই রায়ে বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়াড়ি ও বিচারপতি এস জি চপলগাওঁকরের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ আবেদনের জবাবে জানায়, স্বামীর ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’র কারণে ওই দম্পতি হতাশার যন্ত্রণায় ভুগছে। একে অগ্রাহ্য করা যায় না। তারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে একে অপরের সাথে সংযোগ করতে পারছে না। এই বিয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়ার মানে হয় না।
২৬ বছরের ওই মহিলা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে আবেদন খারিজ হলে ২৭ বছরের বয়সী তার স্বামী উচ্চ আদালতে যান। সেখানেই মঞ্জুর হল তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন।
কিন্তু কী এই ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’? পুরুষত্বহীনতার সঙ্গে এর ফারাক কোথায়? আসলে পুরুষত্বহীনতার অর্থ মহিলার সঙ্গে সঙ্গমে অক্ষমতা। কিন্তু ‘আপেক্ষিক’ কথাটির অর্থ, সাধারণভাবে সঙ্গমে সক্ষমতা থাকলেও কোনও নির্দিষ্ট মহিলার ক্ষেত্রে যৌনতায় অপারঙ্গম হওয়া। এক্ষেত্রে অভিযোগকারিণী মহিলার অভিযোগ ছিল, তার স্বামী তার সঙ্গে শারীরিক মিলনে আগ্রহী নন। তবে পুরুষটি প্রাথমিকভাবে তার স্ত্রীর উপরেও ‘দোষ’ চাপান।
আদালত জানায়, প্রথমে তিনি দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন নিজের ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’র বিষয়টি স্বীকার করতে। তবে পরে তিনি মেনে নেন বিষয়টি। আসলে এই বিষয়টি তার জন্য সন্তোষজনক ছিল যে, যেহেতু এক্ষেত্রে বিষয়টি ‘আপেক্ষিক’, তাই তা তার জীবনে স্থায়ী কোনও ছাপ ফেলবে না।