ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্রবাহী ড্রোন হারমেস-৯০০। ড্রোনটি গ্রাভিটি বোমা এবং এক টন ওজনের অস্ত্র বহন করতে পারে। এটি ধোঁয়া উদগীরণ ছাড়া নিঃশব্দে চলতে পারে। সেজন্য শত্রুপক্ষের জন্য এটিকে শনাক্ত অথবা ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অত্যন্ত গোপনে ড্রোনটি তৈরির জন্য কাজ করে ইসরায়েলি গবেষকরা। অবশেষে ২০২২ সালের জুলাই মাসে এটিকে ইসরায়েলি অস্ত্রাগারে প্রদর্শন করা হয়।
ইসরায়েলের একজন উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, এই ড্রোন বহরগুলো যাত্রীবাহী প্লেনের আদলে তৈরি করা হয়েছে। এগুলো তৈরি করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইসরায়েল অ্যারোস্পেস লিমিটেড এবং এলবিস সিস্টেম লিমিটেড।
তিনি আরও বলেন, ড্রোনগুলো ইসরায়েল সেনাবাহিনীর হাতে থাকা সবচেয়ে বড় সামরিক ড্রোন। এগুলো প্রায় এক টন অস্ত্র বহন করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল যদি ইরানকে পরমাণু বোমা তৈরিতে বাধা দেওয়ার চিন্তা করে এবং যদি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় তাহলে হারমেস-৯০০ ড্রোনগুলোই ইসরায়েল প্রথমে ব্যবহার করার চেষ্টা করবে।
তবে ড্রোনটি কী ধরনের অস্ত্র বহন করে সেটি এর নির্মাতারা প্রকাশ করেননি। এটি সামরিক গোপনীয়তা হিসাবে আড়াল করা হয়েছে। ওই সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ড্রোনটিতে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করা হবে তার সবই ইসরায়েলের নিজস্ব তৈরি। এটি নিঃশব্দে আসবে এবং প্রায় শব্দের সমান গতিতে ছুটবে।
এটি যে ধরনের উচ্চতায় উড্ডয়ন করে তাতে মাটি থেকে এর শব্দ শনাক্ত করা সম্ভব নয়। সবমিলিয়ে ড্রোনটি ইরানের জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইসরায়েল হয়ত ইরানে এই ড্রোনটি দিয়ে হামলার চেষ্টা করতে পারে। শুধু তাই নয়, গত মাসের শেষের দিকে ইরানের একটি সামরিক হামলা হয়েছে। এজন্য ইসরায়েল দায়ী থাকতে পারে বলেও ইরান ও অন্যান্য সামরিক বিশ্লেষকরা সন্দেহ করে আসছে।