সাংবাদিক ও গণমাধ্যম গবেষক হাসান শান্তনুর লেখা চারটি বই অমর একুশের বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। বইগুলো হচ্ছে: ‘সৎ সাংবাদিকতার একাল সেকাল’ (আবিষ্কার প্রকাশনী), ‘গণমাধ্যম নিপীড়ন ১৯৭২-২০১২’ (বিভাস প্রকাশনী), ‘৪৩ বছরে গণমাধ্যমের অর্জন-বিসর্জন’ (প্লাটফর্ম প্রকাশন) এবং ‘সাংবাদিক বঙ্গবন্ধু’ (প্রকৃতি প্রকাশনী)।
হাসান শান্তনু একজন ব্যতিক্রমী লেখক। তিনি গবেষণার মাধ্যমে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের অনালোচিত বিষয় পাঠকের সামনে হাজির করেন। তার চিন্তা-ভাবনা অনেক গভীর। উপস্থাপনায় তিনি দক্ষ কথাকারের মতো।
বইগুলোতে লেখক তুলে ধরেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা। বঙ্গবন্ধু একসময় সাংবাদিকতা করতেন, ছিলেন ‘প্রতিনিধি’, প্রকাশক। ‘মিল্লাত’ পত্রিকার ‘ব্যতিক্রমি বিক্রেতা’ মুজিব পরে হয়ে ওঠেন রাষ্ট্রের স্থপতি। তার বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতার জীবন নিয়ে প্রথম বইটি হাসান শান্তনুই লিখেছেন।
বিদেশি আধিপত্যবাদ বিস্তারে ও গুজব প্রচারে বিশেষ গোষ্ঠী কীভাবে বাংলাদেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে, প্রকৃত সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করা কোন কোন পরিস্থিতিতে দু:সহ হয়ে উঠে, এর পেছনের মূল কারণগুলো কী কী, একসময় এই দেশের সৎ সাাংবাদিকতার স্বরূপ কী ছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে এর চর্চা কোন পর্যায়ে আছে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যেভাবে নষ্ট সাংবাদিকতা শুরু হয়, সাংবাদিকরা যে কারণে দাবার ঘুঁটি, পাঁচ দশকে দুই ধারার সাংবাদিকতা এবং আত্মশুদ্ধিহীন সাংবাদিকতা ইত্যাদি উঠে এসেছে তার লেখায়।
দলীয় সাংবাদিকতা কোন কোন পর্যায়ে দেশপ্রেমের সাংবাদিকতা হয়ে উঠে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ধারাটির আলো কেন নিভু নিভু, পুলিশ সাংবাদিকতা করতে পারে কী না- এসব বিষয় লেখক বইয়ে তুলে ধরেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দরকারি হিসেবে হাসান শান্তনুর লেখা বই পড়েন। সাংবাদিকতা পেশায় আসতে আগ্রহী, তাদের জন্য অবশ্যই দরকারি বইগুলো।