হজের প্রধান প্রধান আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে হাজিরা এখন অবস্থান করছেন পবিত্র নগরী মিনায়। শুক্রবার দিনে আরাফাত ময়দান ও রাতে মুজদালিফায় অবস্থান করে সকালে সেখান থেকে মিনায় পৌঁছে শয়তানকে পাথর মারেন তারা। পশু কোরবানি দিয়ে ঈদ উল আজহা উদযাপন করেছেন হাজিরা।
শনিবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে আল্লাহর মেহমানরা আবার আসেন তাবুর শহর মিনায়। প্রথম দিন সেখানে বড় জামারাত বা বড় শয়তানকে লক্ষ্য করে ৭টি করে পাথর মারেন তারা।
হজরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এর ইতিহাসকে স্মরণ করে নিজের গর্ব-অহংকার এবং আমিত্বকে ত্যাগের জন্য প্রতিকী এই পাথর ছোড়া। এভাবে শয়তানকে পাথর ছোড়ার মধ্য দিয়ে মুলত অন্যায় অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ার প্রেরণা অর্জন আল্লাহর এই মেহমানদের।
পবিত্র এই মিনাতেই মহান আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য ইব্রাহীম (আ.) এবং হাজেরা সন্তান ইসমাইল (আ.)কে কোরবানী দিতে প্রস্তুত হযেছিলেন। সেই মিনাতেই অনেক ভীড় ঠেলে শয়তানকে পাথর ছোড়ার পর কোরবানি করে মাথা মুন্ডন করছেন হাজিরা। এরপর এহরাম খুলে স্বাভাবিক পোশাক পড়ে হাজিরা আসেন মক্কায়।
সেখানে পবিত্র কাবা শরীফ তওয়াফ করেন আল্লাহর এই মেহমানরা। আবার মসজিদুল হারামে দুপুরে যোহরের নামাজ আদায় করে ফিরে যান লাল পাথরের পাহাড় ঘেরা পবিত্র নগরী মিনায়। শয়তানকে লক্ষ্য করে ২ দিনে আরো ৪২টি পাথর মারবেন হাজিরা। পাথর নিক্ষেপ শেষে সোমবার মাগরিবের আগেই হাজিদের চলে আসতে হবে মিনা থেকে। আর মিনা থেকে এই চলে আসার মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের সকল আনুষ্ঠানিকতা।
হজের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পবিত্র কাবা শরীফ বিদায়ী তওয়াফ করে আল্লাহর মেহমানরা ফিরে যাবেন যার যার দেশে। সৌদী আরব থেকে বাংলাদেশে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১৪ জুলাই থেকে।
বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে রবিবার।