ফিলিস্তিনের সমর্থনে পোস্ট দেওয়ায় মার্কিন সুপারমডেল জিজি হাদিদ সপরিবারে হত্যার হুমকি পেয়েছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।
ইমেইল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ফোনকলেও জিজি হাদিদ ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে তারা প্রত্যেকেই ফোন নম্বরও পরিবর্তন করেছেন।
মার্কিন ট্যাবলয়েড টিএমজেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিজি হাদিদ ছাড়াও তার বোন বেলা হাদিদ, ভাই আনোয়ার হাদিদ, এবংমা-বাবা ইয়োলান্ডা ও মোহাম্মদ হাদিদ হত্যার হুমকি পেয়েছেন। এজন্য তাদের ফোন নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। এ বিষয়ে হাদিদ পরিবারের পক্ষ থেকে এফবিআই এর সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন সুপারমডেল জিজি হাদিদের বাবা মোহাম্মদ হাদিদ একজন ফিলিস্তিনি। ইনস্টাগ্রামে জিজি গত ১১ অক্টোবর ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করে পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম এবং দখলদারিত্বে থাকা হৃদয়বিদারক জীবনের জন্য জানাই গভীর সহানুভূতি।’ তিনি সাথে জুড়ে দেন, ‘এই অযৌক্তিক ট্র্যাজেডির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং প্রতিদিন যেই নির্দোষ জীবনগুলো এই সংঘাত কেড়ে নেয়-যাদের বেশিরভাগই শিশু, তাদের কথা ভাবছি।’
৩০ বছর বয়সী এই মডেল ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত হলেও ইসরায়েলের কোনো ক্ষতি চান না বলে জানান সেই পোস্টে। লিখেন, ‘আমার ইহুদি বন্ধুদের জানাতে চাই, ফিলিস্তিনিদের নিয়ে আশা এবং স্বপ্ন দেখলেও আমি ইহুদিদের কোনো ক্ষতি হোক তা চাই না।’
৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস আকাশ ও স্থলপথে আক্রমণ করে ইসরায়েলিদের ওপর। এতে কয়েক শ মানুষ নিহত হন। এ ঘটনায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। দুই পক্ষের লড়াইয়ে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। সবশেষ গাজার একটি হাসাপাতালে হামলায় শিশু ও নারীসহ ৫ শতাধিক মানুষের প্রাণ গেছে। –টিএমজি