মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন একরাতে নৌ বাহিনীর ভয়ংকর একটি অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে খ্যাত। সেই ঐতিহাসিক ঘটনা আসছে সিনেপর্দায়! ২৩ কোটি টাকা বাজেটে সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে শুটিংও শুরু হয়ে গেছে!
অথচ শুরুতে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নিয়ে ছবি নির্মাণে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিল নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রায় আড়াই বছর ধরে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম চিত্রনাট্য তৈরি করেন। এমনকি প্রাক প্রস্তুতিও শুরু করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সিনেমাটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। গত কয়েক বছরে এ নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। পুরো প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
মন্ত্রণালয় বদল হওয়ার সাথে সাথে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নির্মাণ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় গুণী নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমকে। চূড়ান্তভাবে এই ছবি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছেন কলকাতার নির্মাতা রাজীব বিশ্বাস ও বাংলাদেশের দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
‘অপারেশন জ্যাকপট’ ছবির নির্মাণ থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টিকে ‘অবিচার করা হয়েছে’ বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, বেশি কিছুই বলবো না। এতটুকু বলতে চাই, আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এই ‘অপারেশন জ্যাকপট’ আমি আবার বানাতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের গৌরব গাঁথা এই প্লট নিয়ে আরও অনেক সিনেমা হতে পারে। দীর্ঘদিন গবেষণা করে এর স্ক্রিপ্ট আমার বানানো।
‘যেহেতু আমার সবকিছু রেডি করা আছে। তাই এই প্রেক্ষাপট নিয়ে আমি আবার ছবি বানাবো। যারা বানাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বললে অন্যরকম মনে হবে। তারা তাদের মতো কাজ করুক। তবে এটি আমার স্বপ্নের একটি প্রজেক্ট। কাজটি আমি দেরিতে হলেও আমার মতো করে বানাবো।’
এদিকে, গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত বিগ বাজেটের আরেক ছবি ‘কাজলরেখা’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে। মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে বিশাল ক্যানভাসে নির্মিত ছবিটি আসছে ফেব্রুয়ারিতে মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। তবে এখনো সেন্সরে জমা দেননি নির্মাতা। সেন্সর নিশ্চিত হলে মুক্তির চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা দিবেন বলেও জানা গেছে।
২০টির বেশি গান আছে কাজল রেখায়। ‘স্বপ্ন জাল’, ‘পাপপুণ্য’ নির্মাতা বলেন, এটি মিউজিক্যাল ফিল্ম। বহু বছর পর বাংলাদেশে মিউজিক নির্ভর সিনেমা আসছে। রূপবানের মতো ছবির পর এমন মিউজিকের ছবি এসেছে কিনা জানি না। আমাদের রক্তে গান মিশে আছে। কাজলরেখার পরতে পরতে গান আছে কাহিনি আছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ ছবির গানগুলো মানুষের মুখে মুখে থাকবে। কারণ গানগুলো আমাদের মাটি এবং কালচারের গান।