বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু শূন্য রেখায় আবারও গোলাগুলি চলছে। গত ৮ থেকে ১০ দিন ধরে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
গোলাগুলির ঘটনায় হতাহত না হলেও আতংকে রয়েছে সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশ্রিত রোহিঙ্গারা। তবে কী কারণে এ গোলাগুলির ঘটনা হচ্ছে, তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে আতংকিত হয়ে তুমব্রু সীমান্তের স্থানীয়রা অনেকেই নিরাপদে সরে গেছে বলেও জানা যায়।
তুমব্রু সীমান্তের স্থায়ী বাসিন্দা রূপলা ধর বলেন, গত কিছু দিন ধরে সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলা গুলি হচ্ছে, আমরা যারা স্থায়ী বাসিন্দা আছি সবাই খুব আতংকে আছি। তিনি আরও বলেন, সীমান্তে বসবাসকারী অনেকেই ভয়ে নিরাপদে চলে গেছে।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। শনিবার সারারাতও গোলাগুলি হয়েছে। তবে আজ সকাল থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। আমরা যারা এপারে বসবাস করছি সবাই আতংকে আছি, কখন কোন সময় কি হয় জানি না। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যাওয়ার জন্য স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নিরাপত্তার জনিত কারণে আজ দিনব্যাপী সীমান্ত এলাকার পাঁচটি বিদ্যালয় ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন।