গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার এই জয়ে প্রথম নারী মেয়র পেল গাজীপুরবাসী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে তিনি লড়াই করেছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
জায়েদা খাতুন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে পরাজিত হন তিনি।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী জয়লাভ করেন। আইভীর পরে দ্বিতীয় কোনো নারী মেয়র হিসেবে জায়েদা খাতুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনে জয়লাভ করলেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নতুন নগরপ্রধান জায়েদা খাতুন গাজীপুর জেলা সদরের কানাইয়া এলাকায় ১৯৬২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ বছর আগে তার স্বামী মিজানুর রহমান মারা যান। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী। তিনি গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে জাহাঙ্গীর তাঁর মা’কে নির্বাচনে প্রার্থী করেন। পরে ঋণখেলাপি সংক্রান্ত বিষয়ে জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল হয় এবং জাহাঙ্গীর মায়ের পক্ষে ভোটের ময়দানে ছিলেন শেষপর্যন্ত।
বৃহষ্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টায় ইভিএম পদ্ধতিতে শুরু হওয়া গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোট শেষ হয় বিকাল ৪টায়। বিকাল ৫টায় শুরু হয় ভোট গণনা।
এবারের নির্বাচনে ভোটার ছিল ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোট কেন্দ্রের ৩ হাজার ৪৯৭টি কক্ষে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম চলে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিল সিসি ক্যামেরা। এগুলো ঢাকা থেকে মনিটরিং করা হয়। মোট ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হয়।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।