গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় আজকের মধ্যে চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজা ইনকিউবেটরে কমপক্ষে ১৩০ জন শিশু এবং আইসিইউতে ১৪০ জন রোগী জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ইনকিউবেটর এবং আইসিইউসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করার মতো জ্বালানি ফুরিয়ে এসেছে। খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণের জন্য দ্রুত যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে জ্বালানি সরবরাহ না থাকায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪০টি হাসপাতাল ও চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও বেশ কিছু হাসপাতাল তাদের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলো ছাড়া হাসপাতালের সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত কয়েকটি হাসপাতালে জ্বালানি ছিল। তবে আজ বুধবার থেকে সেগুলোও বন্ধ হতে যাচ্ছে।
উত্তর গাজার বেইট হানুন হাসপাতালের পরিচালক আতেফ আল-কাহলুত জানান, জ্বালানি না দিলে হাসপাতালের রোগীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। হাসপাতালগুলোর ইলেকট্রিক জেনারেটর চলতে চলতে বন্ধ হয়ে গেছে। সঠিক সময়ের মধ্যে জ্বালানির ব্যবস্থা করা না গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরো মঙ্গলবার সকালে টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেন, গাজায় খুবই ধীর গতিতে মানবিক সহায়তা আসছে এবং এটা প্রকৃত অবস্থার কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না। ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করে, যাদের প্রায় ৮০ শতাংশ ত্রাণের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। সঠিক সময়ে খাদ্য, জ্বালানিসহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী গাজা উপত্যকায় না পৌঁছালে তাদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে।