নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি চাহিদা পূরণে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ভোলার গ্যাস দ্রুত সঞ্চালন নেটওয়ার্কে আনা হবে। এছাড়া গভীর সমুদ্রে ও ভোলার আশপাশে নদীতেও গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে।
শনিবার (২০ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এনার্জী স্ট্রাটেজি :টুয়ার্ডস এ প্রেডিকটেবল ফিউচার’ শীর্ষক ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,বাংলাদেশ ২০৩০ থেকে ৪০ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির মাইলফলকে পৌঁছানোর লক্ষ্য স্থির করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট উৎপাদন ব্যবস্থা এবং জ্বালানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার প্রয়োজন। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করলে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ প্রদান করা সহজতর হবে বলেও জানান তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে জ্বালানির দাম সমন্বয় করবে। এটি একটি কোয়ার্টারলি অ্যাডজাস্টমেন্ট মডেল অনুসরণ করতে পারে। পর্যায়ক্রমিক মূল্য সমন্বয় কাঠামো একটি স্টেকহোল্ডার-নেতৃত্বাধীন মডেল হবে, যেখানে ব্যবসায়িক সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণে মুক্তবাজার অর্থনীতির কাঠামো অনুসরণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সঞ্চালন ব্যবস্থায় বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টি চলমান রয়েছে। অফশোর এলাকায় তেল অথবা গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে, সরকার অফশোর মডেল পিএসসি আপডেট করছে, যা অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সরকার কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে বুট ভিত্তিতে এক হাজার এমএমসিএফডি রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতার একটি ভূমিভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজতর করতে সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে। অবৈধ সংযোগ খুঁজে পেতে সরকারকে সহায়তা এবং সময়মতো গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার অনুরোধ জানান তিনি। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি বাস্তবায়ন করতে সম্মিলিত ও সমন্বিতভাবে কাজ করা অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন নসরুল হামিদ।
ডিসিসিআই’র সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ফয়সাল করিম খান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী, এফআইসিসিআই’র সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, এনার্জি ও পাওয়ার মোল্লাহ আমজাদ বক্তব্য রাখেন। এ সময় সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন