ঢাকার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ ছিলেন গালিব হুসাইন তাপস। ছোট-বড় বন্ধুদের কাছে ‘ট্যাপস’ নামেই ছিলেন বেশি পরিচিত। আলোকচিত্র এবং সংগীত- শিল্পের এই দুটো মাধ্যমে ছিলো তার উপস্থিতি। করেছেন অভিনয়ও। গেল বছর ২৪ জুন রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তার। প্রথম প্রয়াণ দিবসে গান-আড্ডায় স্মরণ করলো বন্ধু ও স্বজনেরা।
রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় আয়োজিত তাপস স্মরণ অনুষ্ঠানে অনুপ আইচ সম্পাদিত এবং হীরা মোক্তাদির, নসিব পঞ্চম জিহাদির সহ-সম্পাদনায় ‘অনিঃশেষ সূর্যাস্তে তাপস’ স্মরণিকা প্রকাশিত হয়। যার প্রচ্ছদ করেছেন রাফুল আহম্মেদ ও স্কেচ করেছেন সৌরভ সরকার।
এ জেড দিপু, কল্লোল চৌধুরী প্রকাশিত এ স্মরণিকায় বন্ধুদের অনুভূতিতে উঠে এসেছে তাপসের বর্ণিল জীবনের গল্প।
স্মৃতিচারণের ফাঁকে ফাঁকে তাপসের পছন্দের গানগুলো পরিবেশন করে ব্যান্ড লিমনেড, সহজিয়া, সোনার বাংলা সার্কাসের পক্ষ থেকে প্রবর রিপন, রক্স সিংস-এর রোকসানা আমিন, বক্ররেখা ব্যান্ডের মুয়ীজ মাহফুজ, ফারাহ দিবা তাসনিম, নাঈমুল হাসান এবং ডি ব্লক।
বন্ধুমহলে বোহেমিয়ান রকস্টার খ্যাত তাপসের কাছে সংগীত ছিল নেশা। কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণের সাথেও যুক্ত ছিলেন তাপস। অভিনয় করেছেন বেশ কিছু নাটক ও চলচ্চিত্রে। কাজ করেছেন সময়ের বলিষ্ঠ নির্মাতা অনিমেষ আইচ, নূরুল আলম আতিক, টোকন ঠাকুর, সামীর আহমেদের সাথে।
অনুষ্ঠানে তাপসকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বন্ধুরা বলেন, কালচারাল এক্টিভিস্ট গ্রুপ ‘গাধার পালে’র এক ঝলমলে সদস্য তাপস আড্ডায় ছিলেন স্বতন্ত্র। কর্পোরেট কর্মক্ষেত্র টানেনি মুক্তিপ্রিয় এই মানুষটিকে। শান্তি ও ভালবাসায় বিশ্বাসী আজন্ম তরুণ প্রাণের এই মানুষটি স্বপ্ন দেখতেন বৈষম্য পেরিয়ে সব মানুষ একদিন শান্তিময় স্ব-অধিকারে ফিরবে।
সংস্কৃতিকর্মী গালিব হোসাইন তাপসের জন্ম ১৯৭০ সালের ১০ এপ্রিল। গত বছর সিরাজগঞ্জে আকস্মিকভাবে মৃত্যু হয় তার। সে ঘটনায় তার একমাত্র মেয়ে টুপুর সিরাজগঞ্জে অপমৃত্যুর সাধারণ ডায়েরি করেন। তবে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও উদঘাটিত হয়নি।