ঢাকায় দুই দিনের সংক্ষিপ্ত সফরকালে বাংলাদেশের জনপ্রিয় গানের দল ‘জলের গান’ এর সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্রী রাহুল আনন্দের ধানমন্ডির বাসার নিজস্ব স্টুডিওতে গিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সেখানে পৌনে দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
রবিবার রাতে রাহুল আনন্দের স্টুডিওতে যান ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সেখানে রাহুল আনন্দ ছাড়াও আরও তিন শিল্পী আশফিকা রহমান, কামরুজ্জামান স্বাধীন ও আফরোজা সারার সঙ্গে কথা বলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ সময় শিল্পীদের গান শোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র দেখেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ম্যাক্রোঁকে একটি একতারা উপহার দেন রাহুল আনন্দ। ম্যাক্রোঁ রাহুল আনন্দকে উপহার দিয়েছেন কলম। সামাজিক মাধ্যমে সেই উপহারের ছবি শেয়ার করেছেন শিল্পী।
উপহারের ছবি শেয়ার করে রাহুল আনন্দ ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ফরাসী দেশের প্রেসিডেন্টের দেয়া সুন্দরতম উপহার… একটা কলম! উনি প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন আমি যেনো এই কলম দিয়ে গান ও কবিতা লিখি… লিখি প্রকৃতি ও প্রাণের কথা… একদিন উনি সেই গান শুনবেন! পৃথিবী সুন্দর হোক।’
ম্যাক্রোকে গান শোনানোর ভিডিও শেয়ার করেছেন রাহুল আনন্দ। ছেলের সঙ্গে ম্যাক্রোঁর তোলা ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন শিল্পীর স্ত্রী উর্মিলা শুক্লা। ক্যাপশনে লিখেছেন,’ফরাসী দেশের প্রেসিডেন্টের এর সাথে তোতা। অটোগ্রাফও চেয়ে নিলো…..বাবা তুই কি বুঝলি জানি না…..থাকুক আমার অ্যালবামে। বুঝে নিস কখনো।’
রবিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ম্যাক্রোঁকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে ম্যাক্রোঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে তাকে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ম্যাক্রোঁর সফরসঙ্গী হিসেবে ঢাকায় এসেছেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনাও।
এরপর রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর মধ্যরাতে জলের গান-এর রাহুল আনন্দের ধানমন্ডির বাসার নিজস্ব স্টুডিওতে যান ম্যাক্রোঁ।