বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো সেরার পদক জিতলেন শেলি-অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস।
ওরেগনের ইউজিনের হেওয়ার্ড ফিল্ডে ৩৫ বর্ষী কিংবদন্তি ১০.৬৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণপদক গলায় ঝুলান। আগে ২০০৯, ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে ১০০ মিটারে স্বর্ণ জিতেছিলেন ফ্রেজার-প্রাইস।
আরও তাক লাগানো ব্যাপার হচ্ছে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদকও জ্যামাইকার দখলে গেছে। বিশ্বে এবারই প্রথমবারের মতো মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে কোনো একটি দেশ সব পদক জয়ের নজির গড়ল।
শেরিকা জ্যাকসন ১০.৭৩ সেকেন্ড ক্যারিয়ারসেরা টাইমিংয়ে রৌপ্য এবং চারবারের অলিম্পিক স্প্রিন্ট চ্যাম্পিয়ন এলেন থম্পসন-হেরা ব্রোঞ্জ ১০.৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিক ও ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ফ্রেজার-প্রাইস সোনা জিতেছিলেন। গতবছর হওয়া টোকিও অলিম্পিকে ৪০০ মিটার রিলেতে জ্যামাইকার হয়ে স্বর্ণ জিতেছিলেন তিনি।
সাফল্যের পেছনের রহস্য জানাতে গিয়ে জ্যামাইকান কুইন খ্যাত ফ্রেজার-প্রাইস বললেন, ‘আমি একজন প্রতিযোগী, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভালোবাসি। বিশ্বাস করি, ঈশ্বর আমাকে একটি উপহার দিয়েছেন।’
‘আমি সফলতা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রমী, ইচ্ছুক এবং স্বপ্নযাত্রায় ছুটে চলার জন্য সবসময় ক্ষুধার্ত। ১০০ মিটারে পঞ্চম বিশ্ব শিরোপা জয় আমার জন্য বিশেষ কিছু। কারণ ৩৫ বছর বয়সে এসে এটা অর্জন করেছি।’
‘অনেক সময় লোকেরা আমার বয়স বা মা হওয়ার বিষয়ে কথা বলে। তবে বিষয়টাকে জীবনের অংশ মনে করি। আমি এটাকে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখি।’
‘সবসময় নিজের এবং কোচের উপর আস্থা রেখেছি। আমার ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রেখেছি এবং সুস্থ থাকলে সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চলেছি। আমার জীবনসঙ্গী এবং ছেলে স্ট্যান্ডে ছিল, মজার ব্যাপার হল তারা সত্যিই স্পটলাইট পছন্দ করে না তাই সবার উপরে বসে থাকে যাতে কেউ তাদের দেখতে না পায়।’