ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন জুভেন্টাস তারকা পল পগবা। ঘটনার সাথে যুক্ত ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডারের শৈশব বন্ধুরাই। শুধু তা-ই নয়, ঘৃণ্য অপরাধের সাথে যুক্ত আছেন তারকা ফুটবলারের আপন বড় ভাইও।
পগবার বড় ভাই ম্যাথিয়াস পগবা একজন পেশাদার ফুটবলার। ইউরোপের বিভিন্ন দ্বিতীয় সারির ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ৩২ বর্ষী এ ফুটবলার। মূলত কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন ম্যাথিয়াস।
ছোট ভাই পগবার সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্যে ভরপুর সে ভিডিওতে ম্যাথিয়াস বলেন, ‘যারা আমাকে চেনেন না তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি একজন পেশাদার ফুটবলার এবং পল পগবার বড় ভাই। শিগগিরই আমি পল পগবা, তার আইনজীবী, বন্ধু এবং আস্থাভাজন রাফায়েলা পিমেন্টার সম্পর্কে বড় কিছু সত্য প্রকাশ করতে চলেছি। ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, ইংলিশ ও ইতালিয়ান জনগণ এবং আমার ভাইয়ের ভক্তদের এ বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন। ফ্রান্স জাতীয় দল ও জুভেন্টাসে থাকা আমার ভাইয়ের সতীর্থ ও স্পন্সরদেরও বিষয়টি সম্পর্কে জানা থাকা দরকার।’
‘এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানলেই আপনারা বুঝে যাবেন, সে কোনো বিশ্বাসযোগ্য লোক কিনা। ফ্রান্সের বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা পাওয়া উচিত হবে কিনা সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন সহজেই। সে আসলেই আপনাদের শ্রদ্ধা এবং কদরের যোগ্য কিনা সে ব্যাপারেও যুতসই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।’
বড় ভাইয়ের এমন বক্তব্যে মোটেও অবাক হননি পগবা। তাকে ব্ল্যাকমেইল করা গ্যাংয়ের সাথে ম্যাথিয়াসের সম্পৃক্ততা আছে বলেছেন জুভেন্টাস স্ট্রাইকার। সোমবার ফ্রেঞ্চ পুলিশকে দেয়া এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন সাবেক ইউনাইটেড তারকা।
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ম্যাথিয়াস পগবার বক্তব্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটি ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির একটি অংশ। তদন্তের বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’
তারকাখ্যাতি পাওয়ার পরেও শৈশবের বন্ধুদের সবসময় নিজের কাছেই রাখতেন পগবা। প্রয়োজনের সময় তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করতে কখনও দ্বিধা করেননি ২৯ বর্ষী মিডফিল্ডার। খবর, এবছরের জানুয়ারিতে সেই সাহায্যের দুয়ার বন্ধ করে দেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা। যার পেছনেও রয়েছে বড় কারণ। জুভেন্টাস তারকার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ২ লাখ ইউরো চুরি করেন তারই এক কাছের বন্ধু।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্ধুদের সাহায্য করা বন্ধ করতেই বেশ কয়েকবার হুমকি ও চাঁদাবাজির সম্মুখীন হয়েছেন পগবা। প্রথম ঘটনাটি গত মার্চের। আন্তর্জাতিক বিরতির সময় বাড়ি যাওয়ার পথে পগবাকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে টেনে নিয়ে ১৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে দুষ্কৃতিকারীরা। এসময় তাদের সাথে নিজের ভাইও ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন ফ্রেঞ্চম্যান।