টসে হেরে ব্যাটে নেমেছিল ফরচুন বরিশাল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলছে। ৪ ওভারে ২ উইকেট হারালেও বোর্ডে তুলেছে ৪৬ রান। শেষপর্যন্ত চলতি আসরের সর্বাধিক দলীয় স্কোর তুলে থেমেছে সাকিব আল হাসানের দল।
শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম খেলায় বরিশাল ৭ উইকেটে ২০২ রান তুলেছে। হোম গ্রাউন্ডে বড় লক্ষ্যই তাড়া করতে হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে।
দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ ঝড় তোলেন। তাইজুল ইসলামের করা তৃতীয় ওভারের শেষ বলে জিয়াউর রহমানের হাতে ধরা পড়েন মিরাজ। ১২ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ২৪ করে যান টাইগার অলরাউন্ডার।
তিনে সাকিব আল হাসান দ্রুত রান তোলার মন নিয়ে ২২ গজে আসেন। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে বোল্ড হওয়ার আগে যদিও করতে পারেন ৩ বলে ৮ রান।
বিজয় যখন আউট হন, স্কোর ৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৭১ রান। লঙ্কান লেগ ব্রেক বোলার বিজয়কান্ত বিয়াস্কান্তের বলে জিয়াউরের তালুবন্দি হন। তার ব্যাটে আসে ২১ বলে ৫ চারে ৩০ রান।
উইকেট পতনের মাঝেও রানের গতি সচল রাখে চট্টগ্রাম। চতুর্থ উইকেটে ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৭ বলে ২৫ রান করে উন্মুক্ত চাঁদের ক্যাচ হন রিয়াদ, ভাঙে জুটি।
ফিফটির কাছে গিয়ে জাদরান আউট হন। পেসার আবু জায়েদ রাহীর বলে ম্যাক্স ও’ডাউডের ক্যাচ হন। ৩৩ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় সাজান ৪৮ রানের ইনিংস।
১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে করিম জানাত ও চতুরাঙ্গ ডি সিলভাকে সাজঘরে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান রাহী। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে সেটি হতে দেননি কামরুল ইসলাম রাব্বি। শেষ তিন বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বরিশালকে বড় স্কোরে নেন ইফতিখার আহমেদ।
মৃত্যুঞ্জয়ের করা ২০তম ওভারের তৃতীয় ও পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মারার পর শেষ বলে ইফতিখার ছক্কা হাঁকিয়ে শেষে দুইশ রানের গণ্ডিই পার করান। ২৬ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ২১৯.২৩ স্ট্রাইক রেটে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
চট্টগ্রামের পক্ষে রাহী ৩ উইকেট পেলেও ব্যয়বহুল ছিলেন, খরচ করেন ৪৯ রান। একটি করে উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয়, বিয়াস্কান্ত, জিয়াউর ও তাইজুল।