দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে পরাজয় দিয়ে আসর শুরু করলেও আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছে ৪ উইকেটে। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে আসর শুরু করলেও টানা দুই পরাজয় দেখলো তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের বরিশাল।
মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে বরিশালকে ব্যাটে পাঠান কুমিল্লা অধিনায়ক লিটন দাস। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৬১ রানের সংগ্রহ গড়ে তামিমের দল। জাবাবে নেমে ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা।
বরিশালের দেয়া লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি কুমিল্লার। তবে চতুর্থ ওভারে দলীয় ২৬ রানে জোড়া আঘাত হানেন দুনিথ ওয়েল্লাগে। ফিরে যান ১৫ বলে ১৮ রান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রানের খাতা না খোলা তাওহীদ হৃদয়। দলীয় ৫৬ রানে লিটনের উইকেটও হারায় তারা।
পরে একপ্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন ইমরুল কায়েস। ১২.৪ ওভারে দলীয় ৮১ রানে রোস্টন চেজের উইকেট হারায় কুমিল্লা। ১৬.৩ ওভারে দলীয় ১১৬ রানে ইমরুল ফিরে যান ফিফটি পূর্ণ করে। তিন ছক্কা ও চারটি চারে ৪১ বলে ৪২ রান করেন তিনি।
১৯.১ ওভারে দলীয় ১৪৯ রানে মুশফিকের দুর্দান্ত থ্রো-তে রান আউট হয়ে ফিরে যান খুশদিল শাহ। পরের চার বলে ১৩ রান নিয়ে কুমিল্লাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান ম্যাথু ফোর্ড। ৪ বলে ১৩ রানের ইনিংসে ছিল একটি করে চার ও ছক্কার মার। এছাড়া ২ ছক্কায় ২০ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকির আলী।
বরিশালের হয়ে দুনিথ ওয়েল্লাগে তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া আব্বাস আফ্রিদী ও খালেদ আহমেদ নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে দুরন্ত ফিফটি হাঁকিয়ে বিপিএলে ৩ হাজারি ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন সতীর্থ মুশফিকুর রহিম। কুমিল্লার বিপক্ষে নামার আগে ৩ হাজারের ক্লাবে পৌঁছাতে মুশফিকের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। ইংনিসের ১২ তম ওভারে মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশি। ক্লাবে পৌঁছাতে অবশ্য তামিমের চেয়েও বেশি ম্যাচ খেলতে হয়েছে মুশফিকের। তামিম ৯১ ম্যাচে ৯০ ইনিংসে পূর্ণ করেন ৩ হাজার। আর মুশফিক করেন ১১৪ ম্যাচে ১০৮ ইনিংস ব্যাট করে।
কুমিল্লার বিপক্ষে ১৬ বলে ১৯ রান করেন তামিম। সবমিলিয়ে তামিমের রান সংখ্যা ৩০২৪। আর ছয়টি চার ও দুই ছক্কায় ৩১ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তামিমকেও ছাড়িয়ে যান মুশফিক। ৩০৩৮ রান করে বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন তিনি।
ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। প্রথম ওভারেই রানের খাতা না খুলে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনে ব্যাটে আসা প্রিতম কুমারও টেকেননি বেশিক্ষণ। ৭ বলে ৮ রান করে ফিরে যান। এরপর ব্যাটে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন সৌম্য সরকার। দলীয় ৪৩ রানে ফিরে যান তামিম।
পরে সৌম্য ও মুশফিক মিলে ৪৫ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন। ১৩.১ ওভারে দলীয় ১০৯ রানে সৌম্য ফিরে যান। চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৩১ বলে ৩২ রান করেন তিনি। পরে আগলে রেখে ঝড় তোলেন মুশফিক। নামের সাথে সুবিচার না করে ফিরে যান শোয়েব মালিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও দুনিথ ওয়েল্লাগে। ইনিংসের তিন বল বাকী থাকতে দলীয় ১৫৬ রানে মোস্তাফিজের শিকার হন মুশফিক। পরে ১৬১ রানে থামে বরিশালের ইনিংস।
কুমিল্লার হয়ে মোস্তাফিজ নেন তিনটি উইকেট। রোস্টন চেজ ও ম্যাথু ফোর্ড নেন দুটি করে। এছাড়া একটি উইকেট নেন তানভীর ইসলাম ও খুশদিল শাহ।