সোমবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের হয়ে ৪০ রানের ইনিংস খেলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে ৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন তামিম ইকবাল। মঙ্গলবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে দুরন্ত ফিফটি হাঁকিয়ে তামিমের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন তারই সতীর্থ মুশফিকুর রহিম। টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটারের এমন অর্জনের ম্যাচে কুমিল্লাকে ১৬২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশাল।
কুমিল্লার বিপক্ষে নামার আগে ৩ হাজারের ক্লাবে পৌঁছাতে মুশফিকের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। ইংনিসের ১২ তম ওভারে মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশি। ক্লাবে পৌঁছাতে অবশ্য তামিমের চেয়েও বেশি ম্যাচ খেলতে হয়েছে মুশফিকের। তামিম ৯১ ম্যাচে ৯০ ইনিংসে পূর্ণ করেন ৩ হাজার। আর মুশফিক করেন ১১৪ ম্যাচে ১০৮ ইনিংস ব্যাট করে।
কুমিল্লার বিপক্ষে ১৬ বলে ১৯ রান করেন তামিম। সবমিলিয়ে তামিমের রান সংখ্যা ৩০২৪। আর ছয়টি চার ও দুই ছক্কায় ৩১ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তামিমকেও ছাড়িয়ে যান মুশফিক। ৩০৩৮ রান করে বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন তিনি।
মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে বরিশালকে ব্যাটে পাঠান কুমিল্লা অধিনায়ক লিটন দাস। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৬১ রানের সংগ্রহ গড়ে তামিমের দল।
ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। প্রথম ওভারেই রানের খাতা না খুলে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনে ব্যাটে আসা প্রিতম কুমারও টেকেননি বেশিক্ষণ। ৭ বলে ৮ রান করে ফিরে যান। এরপর ব্যাটে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন সৌম্য সরকার। দলীয় ৪৩ রানে ফিরে যান তামিম।
পরে সৌম্য ও মুশফিক মিলে ৪৫ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন। ১৩.১ ওভারে দলীয় ১০৯ রানে সৌম্য ফিরে যান। চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৩১ বলে ৩২ রান করেন তিনি। পরে আগলে রেখে ঝড় তোলেন মুশফিক। নামের সাথে সুবিচার না করে ফিরে যান শোয়েব মালিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও দুনিথ ওয়েল্লাগে। ইনিংসের তিন বল বাকী থাকতে দলীয় ১৫৬ রানে মোস্তাফিজের শিকার হন মুশফিক। পরে ১৬১ রানে থামে বরিশালের ইনিংস।
কুমিল্লার হয়ে মোস্তাফিজ নেন তিনটি উইকেট। রোস্টন চেজ ও ম্যাথু ফোর্ড নেন দুটি করে। এছাড়া একটি উইকেট নেন তানভীর ইসলাম ও খুশদীল শাহ।