তার হাত ধরে নাটকে অভিনয় করে অনেকেই তারকা বনে গেছেন। বিশেষ করে তার ‘নাইন এন্ড অ্যা হাফ’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে জোভান, তৌসিফ, সালমান মুক্তাদির, সাবিলা নূর, টয়া, অ্যালেনরা বিশেষ পরিচিতি পেয়েছিলেন।
পরবর্তীতে সৈয়দ জামান শাওন, মুশফিক ফারহান, প্রত্যয় হিরণদের অভিনয়ে এনে পরিচিতি দিয়েছেন।
বলছি ছোটপর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহর কথা। এবার তার নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে এলেন ‘ফুড ব্লগার’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ইফতেখার রাফসানকে। যিনি নেট দুনিয়ায় ‘রাফসান দ্য ছোটভাই’ হিসেবে পরিচিত।
বান্নাহর পরিচালনায় রাফসান অভিনীত নাটকটির নাম ‘দ্য টিচার’। আরও অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সজল।
পরিচালক বান্নাহ বলেন, সজল-রাফসান ছাত্র-শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। নাটকটি সমালোচকদের কাছ থেকেও প্রশংসা কুড়াবে বলে আশা রাখছি। প্রকাশের পর সবাই পছন্দ করবেন। ঈদে একটি বেসরকারি টিভিতে প্রচার হবে ‘দ্য টিচার’।
চ্যানেল আই অনলাইনকে ইফতেখার রাফসান জানান, তিনি নিয়মিত নেটফ্লিক্সের দর্শক। সেখান থেকে অভিনয়ের উৎসাহ পেয়েছেন। আগে একাধিক টিভিসি ওভিসিতে কাজ করলেও প্রথম নাটকে তার কাজের অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা। দুদিন শুটিংয়ে প্রথমদিন অভিনয় কঠিন মনে হলেও দ্বিতীয় দিন বেশ সহজ লেগেছে তার কাছে।
রাফসান বলেন, ‘আমি যখন কথা বলি, না চাওয়া সত্বেও ইংরেজি বাংলার মিশ্রণে বলি। একজন মফঃস্বলের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছি যেখানে পুরোপুরি বাংলা বলতে হয়েছে। আমার জন্য এটি চ্যালেঞ্জ ছিল।’
তিনি বলেন, বান্নাহ ভাই আমাকে দশদিন আগে মানসিক প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন। যেখানে আমি পারছিলাম না, সেখানে বান্নাহ ভাই ও সজল ভাই দুজনেই ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। ঠিক বড়ভাই যেমনটা করেন। আগামীতে ভালো গল্প ও ভিন্ন ধরনের চিত্রনাট্য পেলে পেলে অবশ্যই অভিনয়ে নিয়মিত হবো।
মাবরুর রশিদ বান্নাহ জানান, রাফসানের কয়েকটি ওভিসি অনলাইনে দেখেছেন। তখন মনে হয়েছে রাফসানকে দিয়ে ঠিকভাবে অভিনয় করাতে পারলে ভালো করবে।
বান্নাহ বলেন, প্রথম অভিনয় হিসেবে রাফসান ভালো করেছে। সে ইংরেজিতে কথা বলে অভ্যস্ত। তার বাংলা উচ্চারণে কিছু জড়তা ছিল। তবে স্ক্রিনে সেটা বোঝা যাবে না।
নতুন হিসেবে রাফসান খুবই বিনয়ী ও সিনসিয়ার বলে উল্লেখ করেন বান্নাহ। তার কথা, অভিনয়ে নিয়মিত হলে রাফসান ভালো করবে।
বান্নাহ বলেন, সজল ভাই এই কাজটির জন্য বাড়তি সাহায্য করেছেন। ধৈর্য্য ধরে অনেক জায়গায় ইনপুট দিয়েছেন।