আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এবং ভয়াবহ বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলের স্বঘোষিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ জানিয়েছেন, মৃত্যুর সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
লিবিয়ার বিশেষজ্ঞ জলেল হারচাউই বলেছেন, মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়াতে পারে।
এই দিকে চলমান উদ্ধার অভিযান চলাকালে সাতজন লিবিয়ান সেনা সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজি, সুসে, দেরনা এবং আল-মারজ ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্মকর্তারা সেখানে কারফিউ জারি করেছেন এবং স্কুল ও দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিবিয়ান রেড ক্রস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যারে কারণে কমপক্ষে ১৫০টি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের মানবিক নেটওয়ার্কের প্রধান বলেছেন, শুধুমাত্র দেরনায় অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের সময় ধারণ করা ভিডিও পোস্ট থেকে দেখা যায়, বন্যার পানির স্রোত একজন মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু ভিডিওতে চালকদের গাড়ির ছাদে আটকা পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সংসদ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় প্রাণহানির ঘটনায় দেশে তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ত্রিপোলির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ আল-বেইবাহও ক্ষতিগ্রস্ত সব শহরে তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলকে ‘দুর্যোগ কবলিত’ এলাকা বলে অভিহিত করেছেন।