বহিরাগতদের হামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরোধ করে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৫) মার্চ আনুমানিক বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নাম্বার গেট সড়কের রেলক্রসিং এলাকায় একাধিক শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় লোকজন।
হামলায় আহত হয়েছেন ১৮-১৯ সেশনের অঞ্জন সাহা তন্ময়, মাঈশা, শাহাদাত, শুভ ও ২০-২১ সেশনের মাহমুদুজ্জামান উমর।
ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে মামলার দাবিতে বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে মূল ফটকে তালা দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন যতক্ষণ না এই ঘটনার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু পদক্ষেপ নিচ্ছে, মূল ফটক অবরোধ করে রাখার ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ তথ্য নিশ্চিত করে চবি প্রক্টর নুরুল আজিম শিকদার বলেন, ‘যেকোন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাকর ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হামলার ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী মাহমুদুজ্জামান উমর চ্যানেল আই অনলাইন জানান, ‘আমি বাইকে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হতে দেখি। ঘটনাস্থলে এক সন্ত্রাসী আরেক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করতে উদ্যত হলে ঠেকাতে গিয়ে ছুরি লাগলে আমার হাত কেটে যায়, অনেক রক্তপাত হয়।’
তিনি আরও জানান, ‘একজন নারী শিক্ষার্থীকে চুলে ধরে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। মুখে ঘুষি মারে। কর্তৃপক্ষের কাছে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
আন্দোলনরত ১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘যতক্ষণ এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আন্দোলনে উপস্থিত আরেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা সাদাফ খান বলেন, ‘আমরা দুইটি মামলার দাবি জানিয়েছি। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নারী হেনস্থা ঘটনায় দুটি আলাদা মামলা করতে হবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে প্রশাসন। তা না হলে আন্দোলন পুনরায় শুরু হবে।’
প্রক্টর নুরুল আজিম শিকদার প্রশাসনের পক্ষ হতে মামলা দেওয়ার আশ্বাস দিলে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মূল ফটক খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকে আরও বৃহৎ পরিসরে শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।