ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনে মৃতদের একজন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মেহেদী হাসান। ছোট ভাই ইসরাফীলের সাথে কাজ করতেন আগুন লাগা ওই ভবনের কাচ্চি ভাই নামের রেস্টুরেন্টে। এই আগুনে ছোট ভাই বেঁচে গেলেও বাঁচতে পারেনি মেহেদী। মাত্র তিন মাস আগে কাজে যোগ দিয়েছিল মেহেদী।
উন্নত জীবনের আসায় যেতে চেয়েছিলেন বিদেশের কোন দেশে। এজন্য আজ পাসপোর্ট করতে গ্রামের বাড়িতে আসার কথা ছিল তার। তবে জীবন্ত মেহেদী না এসে, এসেছে তার পোড়া মরদেহ। আর এমন কথা বলেই বিলাপ করছেন পরিবার।
শুক্রবার ১ মার্চ জুমার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বানাইল ইউনিয়নের দেওরা গ্রামের পিতা আয়নাল হকের বাড়িতে আনা হয় মরদেহ। নেমে আসে শোকের মাতম।
কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের নিহত শেফ মেহেদী হাসানের ছোট বোন সুমাইয়ার আহাজারি যেন থামছেই না। তিনি বলেন, ঢাকার চাকরি ছেড়ে উন্নত জীবনের জন্য পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন বিদেশে। তার জন্য শুক্রবার পাসপোর্ট করতে বাড়ি আসার কথা ছিল মেহেদীর। তবে এসেছে তার পোড়া দেহ!
নিহতের ছোট ভাই ইসরাফিল বলেন, তিন মাস আগে ভাই ওই রেস্টুরেন্টে কাজ নেন। আগুন লাগার সময় দু’ভাই পাশাপাশি ছিলাম। আমাকে ভাই উপরে উঠতে বলে তিনি নিচে নামার চেষ্টা করেন। বিদ্যুৎ না থাকায় ধোয়ার কারণে তিনি নামতে পারেননি। পরে তিনি মারা যান।
নিহতের বাবা আয়নাল মিয়া বলেন, আমার ছেলের পাসপোর্ট করা হলো না। আমি এই ক্ষতি কিভাবে পূরণ করবো। আমার ছেলের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকলের দোয়া চাই।