নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ ওয়ানডে দিয়ে অবসরে গেছেন অ্যারন ফিঞ্চ। দীর্ঘদিনের অধিনায়ক হঠাৎ করে বিদায় বলায় শূন্যতায় পড়েছে অজি ক্রিকেট বোর্ড। সামনে কে দলের হাল ধরবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ। নাম আসছে সাবেক অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নারেরও, যারা নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়ার পাশাপাশি নিষিদ্ধও হয়েছিলেন। ফের যখন আলোচনা, স্মিথ চুপ থাকলেও মতামত জানিয়ে দিয়েছেন ওয়ার্নার। সুযোগ পেলে অজি ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত জানিয়েছেন।
বল বিকৃতি কাণ্ডে জড়িয়ে ২০১৮ সালে অধিনায়কত্ব থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সেসময়ের সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নার। সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে এখন তাকে আবারও অধিনায়ক বানালে সম্মানিত বোধ করবেন বলছেন ৩৫ বর্ষী বাঁহাতি ওপেনার।
‘অধিনায়কত্বের প্রস্তাব পেলে না করার কিছু নেই। এটা অনেক সম্মানের। তবে বিষয়টা এখনও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হাতে। আমার সামনে যা আছে, শুধু সেটায় মনোযোগ দিতে পারি। ব্যাট হাতে যতটুকু সম্ভব, রান করে যেতে পারি।’
‘আমার ফোন সবসময় খোলা। যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখন নতুন লোকজন বোর্ডের দায়িত্বে এসেছে। যেকোনো ব্যাপারেই বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব।’
নেতৃত্ব থেকে ওয়ার্নার আজীবন নিষেধাজ্ঞা পেলেও একই ঘটনায় অধিনায়ক হয়েও মাত্র দুবছরের সাজা পান স্টিভেন স্মিথ। সেটা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টেস্টের সহ-অধিনায়কত্বও পালন করছেন এখন। এমনকি শেষ অ্যাশেজে অজিদের নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে অ্যাডিলেড টেস্টে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন ৩৩ বর্ষী তারকা।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে নাম উঠেছে নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সেরও। ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব পাওয়াটা সম্মানের বলে মনে করছেন তিনিও। তবে এমুহূর্তে টেস্ট অধিনায়কত্বের বাইরে কিছু ভাবছেন না, বলেছেন সেটিও।
‘তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব পেলে আপনাকে সবগুলো ম্যাচ খেলতে হবে। এটা একেবারেই বাস্তবসম্মত নয়। যদি প্রস্তাব পাই এবং সেভাবে কাজ করতে পারি, তাহলে সেটা হবে দারুণ সম্মানের। কিন্তু যদি না পাই সেটাও ভালো। টেস্ট অধিনায়কত্বের বাইরে কিছুই ভাবছি না। এই ফরম্যাটে কাজ করার আরও অনেক বাকি আছে।’