‘বিশ্বকাপ জিতবে পর্তুগাল’— হটফেভারিট ফ্রান্স, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানির ভিড়ে রোনালদো-কস্তাদের নিয়ে এমন বাজি খুব কম লোক-ই ধরবে। পর্তুগিজরা ঠিকঠাক গ্রুপপর্ব পেরোবে, এরপর শেষ ষোলো, তারপর কোয়ার্টার… সে অনেক দূরের পথ! আপাতত বৈশ্বিক আসরের শুরুর ফাঁড়া কাটাতে ঘানাকে হারানোই এখন ক্রিস্টিয়ানোদের প্রথম লক্ষ্য।
আফ্রিকান দেশটির সঙ্গে তুলনা করলে শক্তি-সামর্থ্য বা ইতিহাস, প্রায় প্রতিটি জায়গায় এগিয়ে থাকবে পর্তুগাল। মুখোমুখি দেখায়ও সামনে আছে ফের্নান্দো সান্তোসের দল। ফাঁড়াটি কোন জায়গায়? বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে ফল পক্ষে আনতে পারে না পর্তুগিজরা। সবশেষ তিন বিশ্বকাপে সেটি জ্বলন্ত প্রমাণ।
বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগের তিনটির দুটিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি, অন্যটিতে হেরে গিয়েছিল পর্তুগাল। তা সত্ত্বেও রাশিয়া বিশ্বকাপে ২০১৮ সালে নকআউটে যেতে পেরেছিল দলটি। ২০০৬ ও ২০১০ সালের পর তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য ওটাই। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ তৃতীয় স্থান অর্জন করা পর্তুগিজরা এবার রোনালদোকে ঘিরে দেখছে শিরোপার স্বপ্ন।
ষাটের দশকে ইউসেবিও এবং একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে লুইস ফিগোর সোনালী প্রজন্মের পর্তুগালকে নিয়ে অনেক আশা থাকলেও তারা পারেননি। এবার প্রত্যাশার পাল্লা কিছুটা ভারি। স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ঘানার বিপক্ষে আজ রাত দশটায় নামবেন রোনালদো-মেন্ডেসরা।
এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল ও ঘানা। ২০১৪ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে, ম্যাচটিতে ২-১ গোলে জিতেছিল রোনালদোর দল, সিআর সেভেনের থেকেই এসেছিল জয়সূচক গোলটি।
বৈশ্বিক মহাযজ্ঞে ‘এইচ’ গ্রুপে শিরোপার স্বপ্নে থাকা দলটি শেষ ষোলো নিশ্চিতে লড়বে উরুগুয়ে ও সাউথ কোরিয়ার বিপক্ষে। ফাঁড়া হয়ে থাকা ঘানাকে মোকাবেলা করার পর ২৮ নভেম্বর নুনেজ-সুয়ারেজদের বাধা টপকাতে নামবে রোনালদোর দল। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ২ ডিসেম্বর সাউথ কোরিয়ার বিপক্ষে নামবে সান্তোসের শিষ্যরা।