কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় ধুঁকল বাংলাদেশ। পরের অর্ধে মোহাম্মদ ইব্রাহিম-সাজ্জাদ হোসেনরা লড়লেন, ব্যবধানও কমল। কিন্তু নেপালের বিপক্ষে এড়ানো গেল না হার। অঞ্জন বিশ্রার হ্যাটট্রিকে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিকরা।
নেপালের মাঠে মঙ্গলবার ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটিতে প্রায় সব বিভাগে দাপট দেখিয়েছেন কিরণ কুমার লিম্বুরা। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটে অঞ্জন হ্যাটট্রিক করলে খেলার নিয়ন্ত্রণ থেকে যায় প্রতিপক্ষের হাতেই। শেষ অর্ধে ৫৪ মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে ব্যবধান কমিয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন।
১৯ সেপ্টেম্বর এই মাঠেই নেপালকে উড়িয়ে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা উৎসব করেছে বাংলাদেশ। সাবিনা-সানজিদারা পারলেও সাত দিনের ব্যবধানে জামাল ভুঁইয়ারা পারলেন না। শেষ তিন দেখায় হিমালয়ের দেশটির বিপক্ষে জয়হীন থাকল লাল-সবুজের দল।
দশরথে এদিন শুরুর দিকে স্বাগতিকদের সমানে সমান লড়ছিল বাংলাদেশ। ১৬ মিনিটে সুযোগও তৈরি হয়। ক্রসবার বাধা হয়ে হতাশ করে সফরকারীদের। অধিনায়ক জামালের ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। পরে একটু একটু করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে হাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে সেটপিস থেকে বিমাল ঘ্রাতির ক্রসে বল পেয়ে প্রথমবার দলকে এগিয়ে নেন অঞ্জন বিশ্রা। পরে আরও দুবার তার মাথা ছুঁয়ে বল জড়িয়েছে বাংলাদেশের জালে। খেলার ২৫ মিনিটে সাজ্জাদ হোসেনের দুর্বল শট রুখে দেন নেপাল গোলরক্ষক।
মিনিটখানেক পর কাউন্টার অ্যাটাকে দলকে আরেকবার এগিয়ে দেন বিশ্রা। নেপালি মিডফিল্ডার বিশাল রাইয়ের জোরাল শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ফিরতি শটে বক্সে বল ফাঁকায় পেয়ে যান মিশ্রা। তার মাটি ঘেঁষা জোরাল শট রুখতে ব্যর্থ হন জিকো।
খেলার ৩৮ মিনিটে লাল-সবুজ দলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন অঞ্জন। সুমন আরিয়ালের লম্বা ক্রস থেকে নেয়া হেডে গোলমুখে বল রাখেন বিশ্রা। প্রথমার্ধে আরও বেশকিছু আক্রমণ হলেও ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গোছানো ফুটবল খেলে বাংলাদেশ। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের সুফলও আসে। ৫৪ মিনিটে রাকিব হোসেনের ক্রসে ঝাঁপিয়ে পড়ে নেয়া হেডে জালের দেখা পান সাজ্জাদ হোসেন। ২২ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়াকে রাকিব হোসেনের একমাত্র গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
বাকি সময়ের খেলায় কোনো দলই পারেননি প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে। ২০২১ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হার, একই বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ১-১এ ড্র। এবার ৩-১ গোলের হার নিয়ে ফিরছেন জামাল-জিকোরা।