লাল, সাদা এবং কালো— কাতার বিশ্বকাপের জন্য তিনটি একরঙা জার্সি প্রকাশ করেছে ডেনমার্ক। জার্সিতে দেশের লোগো, কোম্পানির সিল এমনকি লেখাগুলোও থাকছে সম্পূর্ণ জার্সির রঙে মিলিয়ে। ডেনিশ ফুটবল দল এর মাধ্যমে স্বাগতিক দেশকে শক্তিশালী বার্তা দেবে। অভিবাসী শ্রমিক ও সমকামীদের পক্ষে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনরা জানাবেন প্রতিবাদ।
‘শোকের রঙে’র উদ্ধৃতি টেনে জার্সি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হুমেল একটি কালো রঙের জার্সির ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছে। জানিয়েছে, ডেনমার্ক ফুটবল সংস্থার পূর্ণ সমর্থনে প্রতিবাদটি জানাবে তারা। সম্পূর্ণ লাল রঙা জার্সিটি হোম জার্সি, সাদাটি দ্বিতীয় ও কালো রঙের জার্সিটি হবে দলটির তৃতীয় কিট।
হুমেলের অভিযোগ, গত কয়েক দশক ধরে কাতার তাদের দেশে আসা অভিবাসীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করছে না। গ্যাসনির্ভর ধনী দেশটি এশিয়ান দেশগুলো থেকে নেয়া শ্রমিকদেরও ন্যায্য অধিকার দিচ্ছে না। এমনকি বিশ্বকাপ উপলক্ষে বানানো স্টেডিয়াম, মেট্রো লাইন, রাস্তা এবং হোটেল বানাতে গিয়ে মারা যাওয়া হাজারের বেশি শ্রমিকের তালিকা নিয়েও কারচুপি করছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাতার কর্তৃপক্ষ থেকে বিবৃতিও প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফিফার নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়েছে জার্সি। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ‘ডেনিশ জাতীয় দলের নতুন জার্সিগুলোর মাধ্যমে দুটি বার্তা দিতে চায়। এই নকশা শুধু ডেনমার্ক ফুটবলের সর্বোচ্চ সফলতা, ইউরো-১৯৯২ জয়ের অনুপ্রেরণা নয়। এটি কাতারের বিরুদ্ধে এবং সেখানে চলা মানবিক অধিকারের ভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।’
বিশ্বকাপে ডেনিশদের গ্রুপপর্বের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, যারা গাড় নীল জার্সি পরে খেলবে। বাকি দুই প্রতিপক্ষ, অস্ট্রেলিয়ার পছন্দ স্বর্ণ রঙা জার্সি এবং তিউনেশিয়া খেলবে সাদা জার্সিতে। তিউনেশিয়ানদের বিপক্ষে ২২ নভেম্বর হোম জার্সি হিসেবে সম্পূর্ণ লাল জার্সি পরে খেলবে ডেনমার্ক। বাকি ম্যাচের যেকোনো একটিতে কালো রঙের জার্সিটি পরতে পারে দেশটি।
বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে কাতারের নাম ঘোষণার পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনা। সমকামীদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও দিতে চেয়েছিল কাতার, এমনকি তাদের কাছে টিকিট বিক্রি না করার কথাও বলেছিল। সবশেষ, মাঠে সমকামীদের পতাকা ওড়ালে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে রেখেছিল স্বাগতিকরা। ফিফার হস্তক্ষেপে কাতারের সেই পদক্ষেপ যদিও ভেস্তে গেছে। ফিফা সভাপতিও ফুটবল উপভোগ করতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।