তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে সপ্তাহখানেক আগে ভারতকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দেয়া নিষেধাজ্ঞা কাটাতে ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছে ভারতের ফুটবল ফেডারেশন। এরই অংশ হিসেবে ভারতীয় ফুটবলের প্রশাসক কমিটি (সিওএ) বাতিল ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রীম কোর্ট।
সোমবার সকালে এআইএফএফ মামলার শুনানি দিয়েছে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট। সেখানে বেশকিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ বিচারালয়।
কোর্টের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ৩ সদস্যের ফুটবল প্রশাসক কমিটির বদলে ফিফার কর্তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এছাড়া এক সপ্তাহের জন্য ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনও পিছিয়ে দিয়েছে কোর্ট।
আপদকালীন এ সময়ে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব সামেলাবেন সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুনন্দ ধর। নির্বাচনের পর নতুন করে কমিটি গঠন হবে। কমিটিতে থাকবেন ২৩ জন সদস্য। ১ জন সভাপতি, ৪ জন সহ সভাপতি ও ১ জন কোষাধক্ষ্য থাকবেন। এছাড়া ১১ জনের এক্সিকিউটিভ কমিটি গঠন করা হবে।
গত ১৬ আগস্ট তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগে ভারতকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতের জাতীয় ও বয়সভিত্তিক দলগুলো আন্তর্জাতিকভাবে কোনো ম্যাচ খেলতে পারবে না। দেশটির কোনো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এএফসি বা ফিফার স্বীকৃতি পাবে না।
আগামী ১১-৩০ অক্টোবরে ভারতের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপের আসর বসার কথা রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিফার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে বিশ্বকাপের আয়োজন অন্যদেশে সরিয়ে নেয়া হবে।
ফিফার ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (সিওএ) দ্বারা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) পরিচালিত হচ্ছে। নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কমিটি যখন থেকে এআইএফএফ-এর দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখতে শুরু করবে, সেদিন থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।’
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এআইএফএফকে চলতি বছরের মে মাসে নির্বাচিত প্রশাসক কমিটির (সিওএ) তত্ত্বাবধানে রেখেছিল। জুন মাসে সিওএ এ ব্যাপারে দেখভালের জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করে। কিন্তু ফিফা থেকে তীব্র আপত্তি জানানোর একদিন পরে সেই কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছিল।
ফিফা আরও বলেছে, তারা ভারতের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগে রক্ষা করছে। ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা আশাবাদী যে, বিষয়টির ইতিবাচক ফল মিলবে।