ছোট পর্দার মেধাবী নির্মাতা মাহমুদ দিদার। নাটকে তার গল্প বলার ধরন পছন্দ করেন দর্শক। প্রথমবার বড় পর্দায় গল্প বলতে চলেছেন দিদার। সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত দিদারের সেই ছবির নাম ‘বিউটি সার্কাস’। যা মুক্তি পাচ্ছে ২৩ সেপ্টেম্বর।
বড় পর্দায় নির্মাতার প্রথম কাজ। কীভাবে দর্শক ছবিটি গ্রহণ করবে, তা নিয়ে শঙ্কায় থাকা খুব স্বাভাবিক। সেটাই যেন আঁচ করে ফেরদৌস নিজের অভিজ্ঞতার গল্প শোনালেন ‘বিউটি সার্কাস’ এর নির্মাতাকে। দিলেন সাহস।
সম্প্রতি ‘বিউটি সার্কাস’ এর সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ দিদারকে উৎসাহ ও সাহস দিয়ে চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে বলতে শোনা যায়, আমি আমার সিনেমা ক্যারিয়ারে দেখিনি যে একটা ভালো সিনেমা রিলিজ হয়েছে, কিন্তু চলেনি। আমার খুব মনে আছে, ‘খায়রুন সুন্দরী’ একটা সিনেমা হলও পাচ্ছিলো না, কারণ নির্মাতা ছিলেন নতুন। আমি ও মৌসুমী একে ওকে অনুরোধ করে হল নিয়েছি; এবং সেই সিনেমা কিন্তু বাংলাদেশে ইতিহাস তৈরী করেছে।
ফেরদৌস বলেন, ‘আমি এই পর্যন্ত অনেক নবীন পরিচালকের প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেছি। সেই সিনেমাগুলো যথেষ্ট ব্যবসাসফলতা পেয়েছে এবং নাম করেছে।’
উদাহরণ টেনে ফেরদৌস বলেন, ‘আমি কয়েকটা সিনেমার কথা বলছি। এরমধ্যে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ বাসু চ্যাটার্জীর প্রথম বাংলা সিনেমা। ‘ব্যাচেলর’ মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর প্রথম সিনেমা। ‘খায়রুন সুন্দরী’ একে সোহেলের প্রথম সিনেমা। ‘আহা!’ এনামুল করিম নির্ঝরের প্রথম সিনেমা। ‘রানী কুঠির বাকি ইতিহাস’ সামিয়া জামানের প্রথম বাংলা সিনেমা।- এরকম আমার ক্যারিয়ারে প্রচুর নির্মাতার প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেছি, এবং সেই সমস্ত সিনেমা সুপারহিট হয়েছে। মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’ও সেদিকেই এগুচ্ছে।
‘পরাণ’-‘হাওয়া’র মতো ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমাটিও দর্শকপ্রিয়তা পাবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে এই চিত্রনায়ক বলেন, এতোদিন বলতে লজ্জা লাগতো। কিন্তু এখন বলতে দ্বিধা নেই যে আমি দুই যুগ ধরে সিনেমায় কাজ করছি। অভিনয় করছি। কেননা অভিনয়টা ভালোবাসি। এই অঙ্গনটাকে ভালোবাসি। কেউ যখন বলে, ‘বাংলা সিনেমা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে’-তখন বুকটা কেঁপে উঠে। খুব কষ্ট হয়। কিন্তু এমনটা আমার কখনোই মনে হতো না। আমি বিশ্বাস করতাম, ভালো সিনেমা হলে সেটা দর্শক দেখবেই। সেই প্রমাণ আমরা পেয়েছি ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’র মাধ্যমে। ফেরদৌস মনে করেন, ভালো সিনেমার সমস্ত গুণ ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমায় রয়েছে।